আমার জীবনে মন এবং শরীর, দুটোর ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ: জয়া
Published: 25th, July 2025 GMT
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাস নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করেছেন কলকাতার পরিচালক সুমন মুখার্জি। এ উপন্যাসের ‘কুসুম’ চরিত্রটি জীবনীশক্তিতে ভরপুর, অদম্য এবং জীবনরহস্যে ভরা। আর এই ‘কুসুম’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান।
‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ সিনেমার শুটিং অনেক আগে শেষ হয়েছে। নানা জটিলতায় আটকে ছিল। আগামী ১ আগস্ট পর্দায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি। নির্মাণের পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও সিনেমার গল্প সমসাময়িক। সেই সময়ের সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আর এখনকার সময়ের মাঝে খুব বেশি পার্থক্য খুঁজে পান না পরিচালক। ঠিক যেমন পর্দার ‘কুসুম’ আর বাস্তবের জয়া আহসানের মধ্যে তেমন কোনো ফারাক নেই বলে মন্তব্য তার।
আয়োজন করেই ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ সিনেমার ট্রেইলার মুক্তি দিলেন নির্মাতারা। আর এ অনুষ্ঠানে ঔপন্যাসিকের বিখ্যাত সংলাপ আওড়ান পরিচালক—“শরীর! শরীর! তোমার মন নাই কুসুম?” কিন্তু এর ভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন নায়িকা জয়া আহসান।
আরো পড়ুন:
যারা পেলেন মহানায়ক সম্মাননা
তিশার সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন খায়রুল বাসার
‘কুসুম’ যদি শরীরকে এগিয়ে রাখে, জয়া কাকে প্রাধান্য দেন, মনকে? ট্রেইলার মুক্তির অনুষ্ঠানে এই প্রশ্ন রাখা হয় জয়ার কাছে। তার পরিষ্কার জবাব—“মন দিয়ে তো মানুষকে ছোঁয়া যায় না, শরীর দিয়ে মন ছুঁতে হয়। আমার জীবনে মন এবং শরীর— উভয়ের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ। আমার বিশ্বাস কুসুমেরও তাই।”
এ সিনেমার নায়ক শশী। এ চরিত্র রূপায়ন করেছেন আবির চ্যাটার্জি। এর আগে ‘বিসর্জন’ সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন তারা। কৌশিক গাঙ্গুলি নির্মিত ‘বিসর্জন’ সিনেমার মতো এতেও জয়ার পরনে তাঁতের লাল পাড়, ডুরে শাড়ি, কপালজোড়া অল্প ধেবড়ে যাওয়া সিঁদুরের টিপ। আর তার বিপরীতে আবির চ্যাটার্জি।
এ বিষয়ে জয়া আহসান বলেন, “আমাকে ভারতীয় পরিচালকেরা ভালোবাসেন, সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ডাকেন—তার জন্য কৃতজ্ঞ। কিন্তু এখনই শশী-কুসুমের সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে জানতে চাইবেন না। ওটা ১ আগস্ট পর্দার জন্য তোলা থাক!”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জয় আহস ন চলচ চ ত র কর ছ ন আহস ন
এছাড়াও পড়ুন:
দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি
চট্টগ্রামে বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা। তবে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন দুবাইয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন। এরপরও তাঁর রক্ষা হয়নি তাঁর। সিলেটে বিমানবন্দর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাতক এই আসামি।
গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। বিমানবন্দরে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে ফিশারিঘাটে মাছের আড়ত ছিল রুহুল আমিনের।
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই চেক প্রতারণার অভিযোগে করা। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন। বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরোয়ানাভুক্ত এই আসামি সাজা ও গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে গোপনে সিলেট হয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পটিয়া থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে গতকাল রাতেই সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকালে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।