ডিজনি র্যাশ বিষয়টি আমাদের অচেনা। এটি মূলত ত্বকের একধরনের সমস্যা। সাধারণত কেউ গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘসময় থাকলে এই র্যাশ দেখা যায়। বিদেশে ডিজনি ওয়ার্ল্ডের মতো থিম পার্কে গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘ সময় থাকার পর অনেকের ত্বকে এ ধরনের র্যাশ দেখা দেয়। আর সেখান থেকেই এসেছে ডিজনি র্যাশ।
ডিজনি র্যাশ দেখতে কেমনএ ধরনের র্যাশ পায়ের নিচের দিকের অংশে, যেমন গোড়ালি বা তার কাছাকাছি জায়গায় হয়। দেখতে ছোট ছোট লাল দাগ বা ফুসকুড়ির মতো। এই র্যাশ চুলকায়ও। অনেক সময় জ্বালাপোড়া, ফোলা ভাব বা ব্যথা থাকে। গরমে রক্তনালির প্রদাহ বা ভাস্কুলাইটিস হয়ে এ রকম হয়ে যায়।
কারা বেশি আক্রান্ত হয়তীব্র গরমে বেশিক্ষণ থাকলে, বিশেষ করে যাঁরা গরম আবহাওয়ায় অভ্যস্ত নন, তাঁদের এটি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বয়স্কদের এই র্যাশ বেশি হয়। যাঁরা দীর্ঘক্ষণ হাঁটেন বা দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁদের এটি হতে দেখা যায়। যেমন যাঁরা অনেক ঘোরাঘুরি করেন, তাঁদেরও হতে পারে। যাঁরা আঁটসাঁট প্যান্ট বা মোজা পরেন, তাঁদেরও এটি বেশি হতে দেখা যায়।
আরও পড়ুনজ্বরের সঙ্গে র্যাশ মানেই কি ডেঙ্গু১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩চিকিৎসা ও প্রতিরোধপ্রথমত, গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘ সময় থাকা যাবে না। এ রকম পরিবেশে গেলে ঠান্ডা পানিতে নিয়মিত পা ধুতে হবে বা বরফ থাকলে শরীরে ঘষে নিতে হবে। পোশাক পরতে হবে হালকা ও আরামদায়ক। ভ্রমণের মাঝখানে বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। গরম আবহাওয়ায় পানি খেতে হবে বেশি।
র্যাশ হয়ে গেলে আক্রান্ত জায়গা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। পা উঁচু করে রাখতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চুলকানির ওষুধ যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
এ রকম র্যাশ সাধারণত এক সপ্তাহের বেশি থাকার কথা নয়। থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। র্যাশ যদি ছড়িয়ে পড়ে, সেটিও ভালো লক্ষণ নয়। এ ছাড়া অনেক সময় র্যাশে ইনফেকশন বা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। যদি জ্বর আসে, শরীর বেশ অসুস্থ হয়ে যায়, দুর্বল লাগে, তাহলে ইনফেকশন হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে দ্রুত।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক র পর
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে মসজিদের দানবাক্স ভেঙে লাখ টাকা চুরি
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কুতুব শাহী মসজিদের দানবাক্স ভেঙে লক্ষাধিক টাকা চুরি হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) গভীর রাতে চোরেরা মসজিদের মূল দানবাক্স ভেঙে নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, শত বছরের পুরনো এই মসজিদে প্রতিদিন শতাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এসে মসজিদে নিয়মিত দান করেন। ফলে দানবাক্সে মোটা অঙ্কের টাকা জমা হয়েছিল।
মসজিদের বর্তমান ইমাম মাওলানা জালাল উদ্দীন রুমি চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘চুরির ঘটনায় আমিও মর্মাহত। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আমি আশা করি। ধারণা করছি, দানবাক্সে ১ লাখের বেশি টাকা ছিল।’’
অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন জানান, মসজিদ কর্তৃপক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে।
আরো পড়ুন:
নাটোরে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে ইমামকে বিদায়
ষাট গম্বুজ মসজিদে ঈদ জামাতে মানুষের ঢল
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মসজিদে পাহারাদার বা নজরদারির ব্যবস্থা নেই। রাতে মসজিদ ফাঁকা থাকায় চোরেরা সহজে দানবাক্স ভাঙতে পেরেছে।
ঢাকা/রুমন/বকুল