টেনিসের স্কোরিং রহস্য: কেন ১৫, ৩০, ৪০... আর ‘লাভ’ মানে ‘শূন্য’
Published: 31st, July 2025 GMT
টেনিসের জটিল স্কোরিং
টেনিস শুরু হয় দুই প্রতিপক্ষের শূন্য পয়েন্ট দিয়ে, যাকে বলে ‘লাভ’। শুরুতেই তাই স্কোর থাকে ‘লাভ-অল’। একজন পয়েন্ট পেলে স্কোর হয় ‘ফিফটিন-লাভ’ (15–love)—প্রথমে বলা হয় সার্ভারের স্কোর, পরে রিসিভারের। এরপর দুজনই পয়েন্ট পেলে স্কোর হয় ‘ফিফটিন-অল’ (15-all)। এর পরের পয়েন্ট ৩০, তারপর ৪০ এবং এর পরের পয়েন্ট পেলে গেম জেতা যায়। যদি ৪০-এ স্কোর সমান হয়, তাকে বলে ‘ডিউস’। এই ডিউসের পর যিনি পয়েন্ট পান, তার ‘অ্যাডভান্টেজ’ হয়, পরের পয়েন্ট পেলে জিতে যান গেম। অর্থাৎ ‘ডিউস’–এর পর গেম জিততে টানা দুটি পয়েন্ট পেতে হয়।
এখানেই শেষ নয়! এমন ৬টি গেম মিলে হয় একটি সেট। তবে সেট জিততে হলে প্রতিপক্ষের চেয়ে অন্তত দুই গেম এগিয়ে থাকতে হয়, নইলে চলে যায় টাইব্রেকারে। পুরো ম্যাচ জেতার জন্য জিততে হয় তিন সেটের মধ্যে দুটি, কিংবা পাঁচ সেটের মধ্যে তিনটি।
কেন এমন জটিল নিয়ম, নেই নিশ্চিত ব্যাখ্যাএলিজাবেথ উইলসন তাঁর ‘লাভ গেম: আ হিস্টোরি অব টেনিস’ বইয়ে বলেছেন, ‘এটা (টেনিসের এমন স্কোরিং) কীভাবে শুরু হলো বা কেন এমন হলো, এটা কেউ সত্যিই জানে বলে আমার মনে হয় না।’
তাঁর মতে, অনেক রকম রোমান্টিক ব্যাখ্যা তৈরি হয়েছে এই স্কোরিং সিস্টেম ঘিরে, যা আসলে ইতিহাস নয়, প্রচলিত গল্প। এর কিছু বেশ উদ্ভটও।
১৫–৩০–৪০–এর রহস্যএখনকার যে টেনিস, সেটার শিকড় খুঁজে পাওয়া যাবে দ্বাদশ শতাব্দীর ফ্রান্সে—‘জিউ দ্য পম’ (হাতের তালু দিয়ে খেলা) নামের খেলায়। শুরুতে হাতে খেলা হলেও ষোড়শ শতকে যোগ হয় র্যাকেট। তখন থেকেই খেলাটার ছিল রাজকীয় গরিমা, সাজসজ্জা আর নাটকীয়তা। ফ্রান্সের রাজপ্রাসাদ থেকে শুরু করে সাধারণ মাঠেও এই খেলার কদর ছিল।
ইতিহাস ঘেঁটে পাওয়া যায়, ষোড়শ শতকে প্যারিসে এক হাজারের বেশি টেনিস কোর্ট ছিল। রাজা অষ্টম হেনরি টেনিস খেলতেন, ফরাসি বিপ্লবের সময়কার বিখ্যাত ‘টেনিস কোর্ট ওথ’ও হয়েছিল ভার্সাইয়ের একটি কোর্টে।
চলছে উইম্বলডন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।