টেনিসের জটিল স্কোরিং

টেনিস শুরু হয় দুই প্রতিপক্ষের শূন্য পয়েন্ট দিয়ে, যাকে বলে ‘লাভ’। শুরুতেই তাই স্কোর থাকে ‘লাভ-অল’। একজন পয়েন্ট পেলে স্কোর হয় ‘ফিফটিন-লাভ’ (15–love)—প্রথমে বলা হয় সার্ভারের স্কোর, পরে রিসিভারের। এরপর দুজনই পয়েন্ট পেলে স্কোর হয় ‘ফিফটিন-অল’ (15-all)। এর পরের পয়েন্ট ৩০, তারপর ৪০ এবং এর পরের পয়েন্ট পেলে গেম জেতা যায়। যদি ৪০-এ স্কোর সমান হয়, তাকে বলে ‘ডিউস’। এই ডিউসের পর যিনি পয়েন্ট পান, তার ‘অ্যাডভান্টেজ’ হয়, পরের পয়েন্ট পেলে জিতে যান গেম। অর্থাৎ ‘ডিউস’–এর পর গেম জিততে টানা দুটি পয়েন্ট পেতে হয়।

এখানেই শেষ নয়! এমন ৬টি গেম মিলে হয় একটি সেট। তবে সেট জিততে হলে প্রতিপক্ষের চেয়ে অন্তত দুই গেম এগিয়ে থাকতে হয়, নইলে চলে যায় টাইব্রেকারে। পুরো ম্যাচ জেতার জন্য জিততে হয় তিন সেটের মধ্যে দুটি, কিংবা পাঁচ সেটের মধ্যে তিনটি।

কেন এমন জটিল নিয়ম, নেই নিশ্চিত ব্যাখ্যা

এলিজাবেথ উইলসন তাঁর ‘লাভ গেম: আ হিস্টোরি অব টেনিস’ বইয়ে বলেছেন, ‘এটা (টেনিসের এমন স্কোরিং) কীভাবে শুরু হলো বা কেন এমন হলো, এটা কেউ সত্যিই জানে বলে আমার মনে হয় না।’

তাঁর মতে, অনেক রকম রোমান্টিক ব্যাখ্যা তৈরি হয়েছে এই স্কোরিং সিস্টেম ঘিরে, যা আসলে ইতিহাস নয়, প্রচলিত গল্প। এর কিছু বেশ উদ্ভটও।

১৫–৩০–৪০–এর রহস্য

এখনকার যে টেনিস, সেটার শিকড় খুঁজে পাওয়া যাবে দ্বাদশ শতাব্দীর ফ্রান্সে—‘জিউ দ্য পম’ (হাতের তালু দিয়ে খেলা) নামের খেলায়। শুরুতে হাতে খেলা হলেও ষোড়শ শতকে যোগ হয় র‍্যাকেট। তখন থেকেই খেলাটার ছিল রাজকীয় গরিমা, সাজসজ্জা আর নাটকীয়তা। ফ্রান্সের রাজপ্রাসাদ থেকে শুরু করে সাধারণ মাঠেও এই খেলার কদর ছিল।

ইতিহাস ঘেঁটে পাওয়া যায়, ষোড়শ শতকে প্যারিসে এক হাজারের বেশি টেনিস কোর্ট ছিল। রাজা অষ্টম হেনরি টেনিস খেলতেন, ফরাসি বিপ্লবের সময়কার বিখ্যাত ‘টেনিস কোর্ট ওথ’ও হয়েছিল ভার্সাইয়ের একটি কোর্টে।

চলছে উইম্বলডন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ