ঢাকার গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটকে দুই-তিন বছর আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ফায়ার সার্ভিস। এরমধ্যে আজ আবার ওই মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। 

শনিবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে মার্কেটের পঞ্চম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) কাজী নজমুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “ভবনটির ভেতরে কোনো ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। দুই-তিন বছর আগেই ফায়ার সার্ভিস ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল। আগুন লাগার সময় ভবনের নিচতলা ও চতুর্থতলাসহ বিভিন্ন ফ্লোরে অনেক মানুষ ছিল। বারবার তাদের সরে যেতে বলা হলেও তারা বের হতে চাচ্ছিলেন না। এতে করে আমাদের আগুন নেভানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং সেনাবাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাদের ভবন থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়।”

তিনি আরো বলেন, “বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় আমরা এই বিপজ্জনক আগুন নির্বাপণ করতে সক্ষম হয়েছি।” 

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তদন্তের পরই বিস্তারিত জানা যাবে।

ঢাকা/এমআর/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ছুটে গিয়ে দেখি, একটি হরিণ ঝুলছে শিকারির ফাঁদে’
  • শরীয়তপুরের সেই বিদ্যালয়টি অবশেষে ভেঙেই পড়ল পদ্মা নদীতে
  • তিন ভবনেই ১৫টি, রাজনৈতিক দলের কার্যালয় কেন পল্টনকেন্দ্রিক
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী