ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন চলছে। ডেসকো ৭ পদে মোট ৪১ জনকে নিয়োগ দেবে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদগুলোর যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারবেন যে কেউ। আবেদনের সুযোগ আছে আর মাত্র দুই দিন।

পদের নাম ও বর্ণনা—

১. অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রিক্যাল)

পদসংখ্যা: ১২টি

বেসিক বেতন: ৫১০০০ টাকা

২.

অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং (মেকানিক্যাল)

পদসংখ্যা: ৩টি

বেসিক বেতন: ৫১০০০ টাকা

৩.

অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল)

পদসংখ্যা: ৩টি

বেসিক বেতন: ৫১০০০ টাকা

৪.

সাবস্টেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট

পদসংখ্যা: ৭টি

বেসিক বেতন: ২৪০০০ টাকা

৫.

অ্যাসিস্ট্যান্ট কমপ্লায়েন্ট সুপারভাইজার

পদসংখ্যা: ৩টি

বেসিক বেতন: ২৪০০০ টাকা

৬.

স্পেশাল গার্ড

পদসংখ্যা: ১২টি

বেসিক বেতন: ১৮০০০ টাকা

আরও পড়ুনসরকারি কর্মকর্তাদের ‘বিশেষ সুবিধা’র গ্রেড বিষয়ে নতুন নির্দেশনা অর্থ মন্ত্রণালয়ের৩১ জুলাই ২০২৫

৭.

সিকিউরিটি গার্ড

পদসংখ্যা: ১টি

বেসিক বেতন: ১৭০০০ টাকা

আবেদনের যোগ্যতা—

প্রতিটি পদে আবেদনের জন্য আবেদনের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং বয়সসীমার শর্তাবলি জানা যাবে বিজ্ঞপ্তিতে

আবেদনের নিয়ম—

আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনপত্র পূরণ করে আগামী ৪-৮-২০২৫ তারিখের মধ্য জমা দিতে পারবেন।

*বিস্তারিত দেখুন এখানে

আরও পড়ুনগণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরে নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ৯৩ জনের১৯ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের পরিবর্তে উচ্চশিক্ষায় ভারতীয়রা কেন ঝুঁকছেন বাংলাদেশ–সিঙ্গাপুর–উজবেকিস্তান–রাশিয়ার দিকে২০ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। 

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরো পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।” 

শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।

মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।

তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি।  ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।

ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ