ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলদার, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে নেতাকর্মীদের সাথে আতাত করে দখল বানিজ্যের ও তকমা রয়েছে। 

এদিকে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে তার দাপট আরো বেড়ে যায়। তিনি থানা বিএনপির সাংগঠনিক পদে থেকে পুরো ফতুল্লায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। চাঁদাবাজি, জমি দখল, শিল্প কারখানা ও ইটভাটার মালিকদের কাছ থেকে নিয়েছেন মোটা অংকের উৎকোচ। 

এমনকি হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর ও অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যেই ক্ষমতা আসার পর তিনি তার নিজ এলাকায় বক্তাবলীর গোপালপুরে বহুতল ভবন নির্মান করেছেন। 

এছাড়াও ক্রয় করেছেন দুটি গাড়ি। সম্প্রীতি দাপুটে এই হাসান আলীর বিরুদ্ধে রাজাপুর খেয়াঘাট ৩০ লাখ টাকা ইজারা নিয়ে ৭০ লাখ টাকা বিক্রি করার সত্যতা পাওয়া গেছে। যা বিক্রি করা সম্পূর্ণ অবৈধ। আর এই কারনেই নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাফর সাদিক চৌধুরী তার ইজারা বাতিল করে দেন। 


এদিকে নামধারী বিএনপির নেতা হাসান আলীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে রবিউল ইসলাম মানিক নামে ফতুল্লার এক ব্যবসায়ী একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে মানিক উল্লেখ্য করেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী সেন্ডিকেট করে চাঁদাবাজি করছেন। একজন আইনজীবী ও তার সাথে জড়িত আছেন। 

তিনি আরও উল্লেখ্য করেন গত এক বছরে এই হাসান আলী ব্যবসায়ী, শিল্পকারখানা,ইটভাটা, ফেরিঘাট ও অন্যান্য স্হান থেকে চাদাঁবাজি করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার নিজ এলাকায় বিলাশবহুল তিন তলা ভবন নির্মান ও দুটি গাড়ি কিনেছেন যা ভাড়ায় চালিত হয়। 

এছাড়াও অভিযোগে আরও উল্লেখ্য করেন হাসান আলী আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে পাঁচটি ব্যাংকের সাতটি একাউন্টে তার ও তার পরিবারের নামে ৯৬ নব্বই কোটি টাকা জমা আছে। 

এলাকায় প্রভাব ও আদিপত্য বিস্তারে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উল্লেখ্য করেন। 

এবিষয়ে হাসান আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটা পক্ষ ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। দোষী হলে অবশ্যই আমার বিচার হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ হ স ন আল র ব র দ ধ ব এনপ র স গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

পিসিবির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ আইসিসির, পাঠিয়েছে মেইল

পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভারতীয়দের হাত না মেলানো বিতর্কে এবার নতুন মোড়! ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আইসিসি। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি পিসিবির বিরুদ্ধে ‘অশোভন আচরণ’ এবং খেলোয়াড় ও ম্যাচ কর্মকর্তাদের নির্ধারিত এলাকার (পিএমওএ) একাধিক নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে।

বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, এশিয়া কাপের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়ে পিসিবিকে ই–মেইল পাঠিয়েছে আইসিসি।

এশিয়া কাপ–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র পিটিআইকে বলেছেন, ‘আইসিসির সিইও সঞ্জোগ গুপ্তা পিসিবিকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, ম্যাচের দিনে তাঁরা বারবার বিএমওএয়ের নিয়ম ভেঙেছে। পিসিবি এই ই-মেইল পেয়েছে।’

১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের শুরু ও শেষে সূর্যকুমার যাদবের দল সালমান আগাদের সঙ্গে হাত মেলায়নি। এ ঘটনায় পিসিবি ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটকে দোষারোপ করে তাঁর অপসারণের দাবি জানায় আইসিসির কাছে। আইসিসি তা আমলে না নেওয়ার পর ১৭ সেপ্টেম্বর আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটের হুমকি দেয় পিসিবি। এমনকি ম্যাচ শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়েও দেওয়া হয়।

পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, পিসিবির সঙ্গে একমত হয়ে আইসিসি রাজি হয় যে ভারত ম্যাচ-সংক্রান্ত বিষয় মেটাতে পাইক্রফট টসের আগে অধিনায়ক ও ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করবেন।

সূত্র বলে, ‘উদ্দেশ্য ছিল ভারত ম্যাচের টসের সময় যেকোনো ভুল–বোঝাবুঝি বা ভুল যোগাযোগ হয়েছিল, তা দূর করা।’ সূত্র আরও জানায়, পিসিবির পক্ষ থেকে বৈঠকে তাদের মিডিয়া ম্যানেজার নাঈম গিলানিকে সঙ্গে নিয়ে আসা হয় এবং তাঁর উপস্থিতি নিয়ে জোরাজুরি করা হয়।

আরও পড়ুনএশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কখন৪ ঘণ্টা আগে

আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ম্যানেজার পিসিবির মিডিয়া ম্যানেজারকে ঢুকতে দেননি। কারণ, তিনি মুঠোফোনসহ পিএমওএ এলাকায় ঢুকতে চাইছিলেন। সূত্রের বর্ণনায়, তখন পিসিবি হুমকি দেয় যে মিডিয়া ম্যানেজারকে প্রবেশ করতে না দিলে তারা ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়াবে। শেষ পর্যন্ত তারা জোর করে বৈঠকের ভিডিও (শব্দ ছাড়া) ধারণ করে, যা ছিল পিএমওএ নিয়মের একটি লঙ্ঘন।

ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে টসের সময় দুই অধিনায়ককে হাত মেলাতে বারণ করেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট (বাঁয়ে)

সম্পর্কিত নিবন্ধ