‎‎আগের দুই আসরে কোনো পদক জেতেনি বাংলাদেশ। তবে এবার ইতিহাস বদলেছে। বাহরাইনের মানামায় তৃতীয় যুব এশিয়ান গেমসে প্রথম পদকের দেখা পেল বাংলাদেশ। আজ কাবাডিতে মেয়েরা ৪৭-৪০ পয়েন্টে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। সেই জয়ের সুবাদেই নিশ্চিত হলো ব্রোঞ্জপদক।

কাবাডির নিয়ম অনুযায়ী, তৃতীয় বা চতুর্থ হলেই অন্তত ব্রোঞ্জ পাওয়া যায়। সেই হিসেবে ‘এ’ গ্রুপে পাঁচ দলের মধ্যে চতুর্থ হয়েও পদক জিতেছে মেয়েরা।

প্রথম তিন ম্যাচ হেরে যাওয়ায় আজকের ম্যাচটা ছিল তাদের জন্য একেবারে ডু অর ডাই। শুরু থেকেই লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় ২৫-১৮ পয়েন্টে। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। সমানতালে চলে লড়াই। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধে স্কোর সমান ২২-২২ হলেও দুই অর্ধ মিলিয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে জয় উৎসবটা করে বাংলাদেশ।

কাবাডিতে ছেলেদেরও পদক জয়ের সম্ভাবনা আছে। এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে দুই জয় পেয়েছে তারা। আজ রাত ৯টায় থাইল্যান্ডের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ।

যুব এশিয়ান গেমসে খেলতে দেশ ছাড়ার আগে মেয়েদের কাবাডি দল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইল বিএনপির সভাপতি মোহনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাদ জোহর শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

জানাজায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ অংশ নেন।

হামিদুল হক মোহনের ছেলে মিল্টন হক বলেন, ‘‘বাবা সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রতিদিনের মতো গণসংযোগে বের হন। দেলদুয়ার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে বিকেলে দেউলী ইউনিয়নে পথসভা করে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় গাড়িতেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এই অবস্থায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’’

ব্যক্তিজীবনে হামিদুল হক ভাষাসৈনিক আবদুল মতিনের (ভাষা–মতিন) ভগ্নিপতি। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, তিন মেয়ে রেখে গেছেন।

হামিদুল হকের ঘনিষ্ঠ নেতারা জানান, স্কুলছাত্র থাকা অবস্থায় ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন গ্রুপ) মাধ্যমে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন হামিদুল হক। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে তিনি টাঙ্গাইল জেলা সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। স্বাধীনতার পর ভাসানী ন্যাপের রাজনীতে যুক্ত হন। পরে ভাসানী ন্যাপ বিএনপির সঙ্গে একীভূত হয়। তিনি টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালে সভাপতি হন। টানা ১৭ বছর জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। পাশাপাশি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। টাঙ্গাইল নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন হামিদুল হক।

ঢাকা/কাওছার/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ