সাও পাওলোর মরুম্বি স্টেডিয়ামে তখন গা গরম করছিলেন সান্তোসের খেলোয়াড়েরা। মাঠে গোলপোস্টের পেছনে গ্যালারিতে ছিল নেইমারের পরিবারের একটি অংশ—তাঁর স্ত্রী ব্রুনা বিয়ানকার্দি, কন্যা মাভি, বিয়ানকার্দির বাবা এবং তাঁদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী। কন্যার টানে নেইমার ছুটে যান সেখানে। মাভির গালে চুমু খেয়ে ফিরে আসেন মাঠে। তারপরের ঘটনা এতক্ষণে সবার জানা। ব্রাজিলিয়ান সিরি আ-তে আজ জুভেন্তুদের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে সান্তোস। নেইমার করেছেন জোড়া গোল।

আরও পড়ুনইয়ামালের ‘সুপারম্যান’ দেয়ালচিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ফিরল স্বরূপে৪ ঘণ্টা আগে

প্রায় ৩৮ হাজার দর্শকের সামনে প্রথমার্ধে ৩৭ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে দুই গোল পায় সান্তোস। ৩৭ মিনিটে জুভেন্তুদের গোলকিপারের সেভ থেকে ফিরতি বল পেয়ে গোল করেন নেইমার। ৪০ মিনিটে গোল করেন সান্তোসের আর্জেন্টাইন উইঙ্গার আলভারো ব্যারেয়াল। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে একটি গোল পরিশোধ করে জুভেন্তুদে। বিরতির পর ৮০ মিনিটে সান্তোস ফরোয়ার্ড লুকা মেইরিলেস পেনাল্টি আদায় করেন জুভেন্তুদের বক্সে। পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন নেইমার। এ জয়ে ১৭ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সিরি আ পয়েন্ট তালিকায় ১৫তম স্থানে উঠে এল সান্তোস।

দ্বিতীয় গোলের পর নেইমারের উদ্‌যাপন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সের ব্যাটিং ঝলক আর বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ডের সিরিজ জয়

ডাবলিনের মালাহাইড ভিলেজে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের নায়ক জর্ডান কক্স করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। সঙ্গে লিয়াম ডসন, জেমি ওভারটন ও আদিল রশিদের বোলিং জাদুতেই ধরা খেল স্বাগতিকরা।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৪ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের মূল ভরসা ছিলেন গ্যারেথ ডেলানি। শেষদিকে তার ঝড়ো ২৯ বলে অপরাজিত ৪৮ রানে ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পায় দল। ইনিংসে ছিল ৪টি চার আর ৩টি বিশাল ছক্কা। ওপেনার রস অ্যাডায়ার ২৩ বলে ৩৩ এবং তিন নম্বরে নামা হ্যারি টেক্টর ২৭ বলে ২৮ রান যোগ করেন। তবে অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে দ্রুত ফেরান ডসন। পরে টেক্টরকেও আউট করে ২ ওভারে ৯ রানে ২ উইকেটের বোলিং ফিগার দাঁড় করান তিনি।

আরো পড়ুন:

ভারতকে ১৭২ রানের টার্গেট ছুড়ল পাকিস্তান

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে ভারত

জেমি ওভারটন তার চার ওভারে লরকান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্ফারকে ফিরিয়ে আয়ারল্যান্ডের মিডল অর্ডারে আঘাত হানেন। সবচেয়ে কার্যকরী ছিলেন লেগস্পিনার আদিল রশিদ। ইনিংসের শেষভাগে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ২৯ রানে ৩ উইকেট।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারেই সিনিয়র ব্যাটার জস বাটলারকে শূন্য রানে ফেরান ব্যারি ম্যাককার্থি। অধিনায়ক জেকব বেথেলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, করেন মাত্র ১৫ রান।

তবে একপ্রান্ত আগলে ব্যাট চালান ফিল সল্ট। ২৩ বলে ২৯ রানের ইনিংসে দুই চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে গড়েন কক্সের সঙ্গে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। সেখানেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। কক্স খেলেন ৩৭ বলে ৫৫ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস। যেখানে ছিল নিয়ন্ত্রিত শটের ছড়াছড়ি। শেষ পর্যন্ত বেন হোয়াইট তাকে বোল্ড করলেও তখন জয় প্রায় নিশ্চিত।

বাকি কাজটা সেরে দেন টম ব্যান্টন ও রেহান আহমেদ। ব্যান্টনের ২৬ বলে অপরাজিত ৩৭ রানে ভর করে ১৭.১ ওভারেই ৪ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।

এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল ইংল্যান্ড। 

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ