লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের মকড়া ঢঢগাছ গ্রামে হেলাল হোসেন কবির নামের এক সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। 

পূর্ব শত্রুতার জেরে গতরাতে শনিবার (৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সেসময় ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে মারধরের শিকার হন সাংবাদিক হেলালের কবিরের মাও। এ ঘটনায় পুলিশ সেহরাব হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আহত সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবির ‘আলোর মনি’ নামে একটি স্থানীয় সাপ্তাহিক পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক। বর্তমানে তিনি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে পেশাগত কাজে লালমনিরহাট শহরে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন সাংবাদিক হেলাল কবির। সেসময় একই এলাকার মকবুল হোসেন ও তার চার ছেলেসহ তাদের স্বজনরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে আটক করে। এরপর তারা লাঠি ও রড দিয়ে হেলালকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়।

হেলাল কবিরের চিৎকারে তার মা সামসুন্নাহার বেগম লুসি এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা গিয়ে মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবির বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ রাতেই সোহরাব আলী নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

নুরন্নবী জানান, মামলার পর পরই একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

ঢাকা/সিপন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রাশিল্পীকে মারধর-নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

ময়মনসিংহ নগরীতে এক নারী যাত্রাশিল্পীকে মারধর করে, চুল কেটে দিয়ে ও মুখে কালি মাখিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করেন। 

গ্রেপ্তার শাহ আলম (৪০) চরকালীবাড়ি এলাকার মো. রাশেদের ছেলে। তিনি মামলার ৩ নম্বর আসামি। তাকে জুবিলী ঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নির্যাতনের শিকার নৃত্যশিল্পীর নাম মোছা. রুপা নগরের বড় কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তারা নগরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাসুদ জামেলী বলেন, “ওই নারীকে বেঁধে রেখে চুল কেটে মারধর করা হয়েছে। মুখে কালি মাখিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুটি পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই মামলা চলছিল। অপহরণ মামলার আসামিরা জামিনে ছিলেন। আদালতের আরেকটি ভাঙচুরের মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ গত বুধবার দুপুরে ফিরে আসে। তখন প্রতিপক্ষ রাস্তায় রুপাকে আটকে নির্যাতন চালায়।”

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, বড় কালীবাড়ি লোকনাথ মন্দির-সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের একটি বস্তিতে বাস্তুহারা সমবায় সমিতির কাছ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে ৩ লাখ টাকায় একটি জমি কেনেন রুপা। গত বছর সেখানে আধা পাকা ঘর করতে গেলে সমবায় সমিতির সদস্য শাহ আলম চাঁদা দাবি করেন। 

এক লাখ টাকা দেওয়ার পর আরো ১০ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না পেয়ে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর রুপার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় রুপা আদালতে মামলা করেন। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল রুপার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে মো. রনি সুলতানকে অপহরণ করা হয়। 

এ ঘটনায় রুপা ৯ এপ্রিল মামলা করলে আসামি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। রুপার করা ভাঙচুর মামলার তদন্ত করতে পুলিশ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যায়। 

পুলিশ চলে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষ রাস্তায় রুপাকে ধরে নিয়ে বেঁধে মারধর করে, চুল কেটে ও মুখে কালি মেখে হেনস্তা করে। এসময় তার সামনে মাদক ও টাকা রেখে ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। 

পরে রুপার স্বামী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

রুপা বলেন, ‘‘পুলিশ চলে যাওয়ার পরই আমাকে রাস্তায় ধরে নিয়ে গিয়ে বেঁধে চুল কেটে মুখে কালি মেখে দেয়। আমি বিচার চাই।’’

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম বলেন, “মামলা তদন্ত করে পুলিশ ফিরে আসার পর ওই নারীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।”

ঢাকা/মিলন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজধানীর বছিলায় পেট্রলবোমাসহ একজনকে আটক করেছে র‍্যাব
  • যাত্রাশিল্পীকে মারধর-নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১