কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে পানি বাড়লেও এখনো বিপৎসীমার নিচে আছে। নিচু এলাকাগুলোতে প্রবেশ করছে বন্যার পানি। তবে, এখনো বাসবাড়িতে পানি প্রবেশ করেনি।

এদিকে, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দুধকুমার, তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীপাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দুধকুমারের ভাঙনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর, তিস্তার ভাঙনে উলিপুর উপজেলার থেতরাই ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে উলিপুরের বেগমগঞ্জ এলাকার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অন্তত ৩০টি পয়েন্টে নদ-নদীর ভাঙন অব্যাহত আছে। এক সপ্তাহের নদীভাঙনে এসব এলাকার শতাধিক ঘর-বাড়িসহ মসজিদ, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে আছে আরো শত শত ঘর-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা।

ভাঙনকবলিতরা জানিয়েছেন, নদীভাঙনের কবলে পড়ে ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন তারা। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাদের। 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া এলাকার লেবু মিয়া বলেছেন, দুধকুমারে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বানিয়া পাড়ার প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। যাদের ঘর-বাড়ি, গাছপালা নদের কিনারে পড়েছে, তারা সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছেন। নদীভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পুরো বানিয়া পাড়া গ্রাম নদীগর্ভে চলে যাবে।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া জানিয়েছেন, বেগমগঞ্জের তিনটি পয়েন্টে ভাঙন অব্যাহত আছে। বার বার বলার পরও ভাঙন প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন, কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার, তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে বন্যার পুর্বাভাস আছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার তথ্য অনুযায়ী, দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙনকবলিত ৩০টি পয়েন্টের মধ্যে ২০টি পয়েন্টে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

ঢাকা/বাদশাহ্/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব পৎস ম র প রব হ ত র উপজ ল ব যবস থ ঘর ব ড় র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

গৃহবধূর সঙ্গে আটকের ভিডিও ভাইরাল: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নোমান বাবুকে (৩৩) সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) নোয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক মাহবুব ফাহাদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নোমান বাবু বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নোয়াখালী জেলা শাখার অধীনস্থ বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নোমান বাবু দলের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সংগঠন পরিপন্থি অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত হয়েছেন। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছাবের আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে। অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার কারণে তাকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরায় বিএনপি ও যুবদলের ৩ নেতাকর্মী বহিষ্কার

সেনা অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ফরিদকে যুবদল থেকে বহিষ্কার

অভিযোগের বিষয়ে নোমান বাবু বলেন, ‘‘আমাকে বহিষ্কারের বিষয়টি শুনেছি। একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসিয়েছে।’’

রবিবার (১০ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের তফাদার গেট এলাকার এক গৃহবধূর ঘরে অবস্থান করছিলেন নোমান বাবু। এলাকাবাসী তাদের আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় নেতারা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এরপর তাকে আটকের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

নোয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘আমরা একটা ভিডিও পেয়েছি। তাতে আমাদের মনে হয়েছে, তিনি অসামাজিক কাজে জড়িত। তাই তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’’

নোয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছাবের আহমেদ বলেন,  ‘‘সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’

ঢাকা/সুজন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গৃহবধূর সঙ্গে আটকের ভিডিও ভাইরাল: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার