কুয়াকাটা সৈকতে আবারও ভেসে এল মৃত ইরাবতী ডলফিন
Published: 19th, August 2025 GMT
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারও ভেসে এল মৃত ডলফিন। প্রায় ছয় ফুট দৈর্ঘ্যের এ ডলফিন ইরাবতী প্রজাতির। পুরো শরীরের চামড়া উঠে গেছে। ডলফিনটি দেখার জন্য স্থানীয়সহ কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটকেরাও ভিড় জমান সৈকতে।
আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে জোয়ারে ভেসে এসে কুয়াকাটা সৈকতের ঝাউবাগান এলাকায় ডলফিনটি আটকা পড়ে। এর আগে ১ আগস্ট এই সৈকতে ভেসে এসেছিল বটলনোজ প্রজাতির একটি মৃত ডলফিন।
উপকূলের পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সদস্য কে এম বাচ্চু বলেন, ‘আগের তুলনায় ডলফিনের মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে এখনো মাঝেমধ্যে মৃত ডলফিন ভেসে আসে। আমরা চাই সরকার ও সংশ্লিষ্ট গবেষণা সংস্থা ডলফিনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করুক। কারণ, ডলফিন শুধু সমুদ্রের প্রাণী নয়, সমুদ্রের পরিবেশের স্বাস্থ্য ও ভারসাম্যের এক গুরুত্বপূর্ণ সূচক।’
সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ কার্যক্রমের পটুয়াখালী জেলার সহযোগী গবেষক মো.
কুয়াকাটায় জেলেসহ স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করা কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির দলনেতা রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘আমরা উপকূলজুড়ে কাজ করছি ডলফিন রক্ষায়। কুয়াকাটায় এ পর্যন্ত ছয়টি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। সেগুলোকে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যাতে এই ডলফিনগুলোর মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বের করা হয়।’
বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা কে এম মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আমরা খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে আমাদের লোকজন পাঠানো হয়েছে। মৃত ডলফিনটিকে মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গণতন্ত্রের পথে সংকট দেখছেন তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জনমনে সংশয় গণতন্ত্রের পথে সংকট তৈরি করতে পারে। নির্বাচনে অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হচ্ছে। দল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গণতন্ত্রের স্বার্থে ছাড় দিতে বিএনপি প্রস্তুত। ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন কার্যক্রমের অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।