চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের শিংনগর সীমান্ত দিয়ে হিরো মন্ডল (২৬ নামে) এক ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের উপস্থিতিতে বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে নৌ-পুলিশের সদস্যরা পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে গাছ থেকে নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নিখোঁজ রাজমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার, পুলিশের ধারণা হত্যা

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোদাগাড়ি নৌ-পুলিশের ওসি তৌহিদুর রহমান।

মারা যাওয়া হিরো মন্ডল (২৬) ভারতের মালদা জেলার সুজাপুরের কালাচাঁদ মণ্ডলের ছেলে। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, হিরো মন্ডল পেশায় জেলে। তিনি ভারতের গঙ্গায় মাছ ধরতে গিয়ে ডুবে নিখোঁজ হন। পানির স্রোতে তার মরদেহ ভেসে আসে। গত সোমবার পদ্মা নদীতে অর্ধগলিত অবস্থায় হিরো মন্ডলের মরদেহ দেখতে পেয়ে বিজিবি সদস্যরা পুলিশকে খবর দেন। পরে নৌ-পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

পরিচয় শনাক্তের পর আজ বুধবার দুপুরে শিবগঞ্জের শিংনগর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ওই ব্যক্তির মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

গোদাগাড়ি নৌ-পুলিশের ওসি তৌহিদুর রহমান বলেন, “মাছ ধরতে গিয়ে গঙ্গা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হন হিরো মন্ডল। এ নিয়ে ভারতের বৈশবনগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার পরিবারের সদস্যরা। সব তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরই মঙ্গলবার মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় ভারতের বৈশবনগর থানা পুলিশ, বিএসএফ এবং বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।”

ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
  • চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ১৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ