পশুপালন ও কৃষি নির্ভর গ্রামীণ জনপদে প্রাণীসম্পদ সুরক্ষা আর সবুজের বিস্তার একসঙ্গে দেখা মেলে না সচরাচর। তবে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সংলগ্ন সুতিয়াখালি গ্রামে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করা হয়েছে। গ্রামটিতে দিনব্যাপী গবাদি পশুর চিকিৎসা এবং ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (৩০ আগস্ট) জহির উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন। এ সময় পশুপাখির বিনামূল্যে চিকিৎসা আর কৃষকের হাতে ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা তুলে দেওয়া।

আরো পড়ুন:

প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে কম্বাইন্ড ডিগ্রিকে অপরিহার্য বললেন বাকৃবি শিক্ষকরা

রাতভর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

দিনভর আয়োজনটিতে ভিড় জমে স্থানীয় কৃষক, খামারি ও গ্রামীণ জনতার। কেউ এসেছেন গরু, ছাগল বা হাঁস-মুরগির চিকিৎসা করাতে, আবার কেউ হাতে নিয়েছেন ফলদ বা ঔষধি গাছের চারা। সবার চোখেমুখে ছিল আনন্দ আর সন্তুষ্টি।

ডা.

মো. রেজাউল করিম মিয়ার সভাপতিত্বে ডা. মো. বয়জার রহমানের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। এছাড়াও বাকৃবি বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। 

আয়োজকরা জানান, এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো গ্রামের সাধারণ মানুষকে পশুস্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করা এবং একইসঙ্গে পরিবেশবান্ধব চাষাবাদে উৎসাহিত করা। স্থানীয়রা বলছেন, বিনামূল্যে চিকিৎসা ও চারা বিতরণ তাদের জন্য কার্যত আশীর্বাদস্বরূপ।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, “ইন্ডিয়া থেকে গরু না আসলে নাকি আমরা মারা যাব, এখন কিন্তু কোরবানির ঈদে ইন্ডিয়া থেকে গরু আসে না। তারপরেও আমরা উৎপাদন বেশি করছি। ইন্ডিয়া থেকে পেঁয়াজ না আসলে আমরা নাকি চলতে পারব না, এখন কিন্তু আমরা ইন্ডিয়ার পেঁয়াজ ছাড়া চলি। তার মানে এই দেশের কৃষকরা এই দেশটাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।”

তিনি বলেন, “কৃষকরা যেগুলো করে সেটাই আসল জিনিস। এ দেশের ৮০ ভাগ লোক হচ্ছে কৃষক। কৃষকরা চাষাবাদ করে, তাই এদের উন্নতি কিভাবে করা যায়, সেটাই আমাদের চিন্তা। আমরা এ ধরনের কার্যকলাপই করি। করোনার সময় মানুষকে সহযোগিতা, ডেঙ্গুর সময় মানুষকে সহযোগিতা, বন্যার সময় মানুষকে সহযোগিতা এবং শীতকালে শীতের বস্ত্র বিতরণের কার্যক্রম আমরা পরিচালনা করি। আমরা মেডিকেল ক্যাম্পও করি বিভিন্ন এলাকায়।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইন ড য ক ষকর ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ