সুতিয়াখালিতে ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও চারা বিতরণ
Published: 30th, August 2025 GMT
পশুপালন ও কৃষি নির্ভর গ্রামীণ জনপদে প্রাণীসম্পদ সুরক্ষা আর সবুজের বিস্তার একসঙ্গে দেখা মেলে না সচরাচর। তবে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সংলগ্ন সুতিয়াখালি গ্রামে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করা হয়েছে। গ্রামটিতে দিনব্যাপী গবাদি পশুর চিকিৎসা এবং ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) জহির উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন। এ সময় পশুপাখির বিনামূল্যে চিকিৎসা আর কৃষকের হাতে ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা তুলে দেওয়া।
আরো পড়ুন:
প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে কম্বাইন্ড ডিগ্রিকে অপরিহার্য বললেন বাকৃবি শিক্ষকরা
রাতভর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
দিনভর আয়োজনটিতে ভিড় জমে স্থানীয় কৃষক, খামারি ও গ্রামীণ জনতার। কেউ এসেছেন গরু, ছাগল বা হাঁস-মুরগির চিকিৎসা করাতে, আবার কেউ হাতে নিয়েছেন ফলদ বা ঔষধি গাছের চারা। সবার চোখেমুখে ছিল আনন্দ আর সন্তুষ্টি।
ডা.
আয়োজকরা জানান, এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো গ্রামের সাধারণ মানুষকে পশুস্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করা এবং একইসঙ্গে পরিবেশবান্ধব চাষাবাদে উৎসাহিত করা। স্থানীয়রা বলছেন, বিনামূল্যে চিকিৎসা ও চারা বিতরণ তাদের জন্য কার্যত আশীর্বাদস্বরূপ।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, “ইন্ডিয়া থেকে গরু না আসলে নাকি আমরা মারা যাব, এখন কিন্তু কোরবানির ঈদে ইন্ডিয়া থেকে গরু আসে না। তারপরেও আমরা উৎপাদন বেশি করছি। ইন্ডিয়া থেকে পেঁয়াজ না আসলে আমরা নাকি চলতে পারব না, এখন কিন্তু আমরা ইন্ডিয়ার পেঁয়াজ ছাড়া চলি। তার মানে এই দেশের কৃষকরা এই দেশটাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।”
তিনি বলেন, “কৃষকরা যেগুলো করে সেটাই আসল জিনিস। এ দেশের ৮০ ভাগ লোক হচ্ছে কৃষক। কৃষকরা চাষাবাদ করে, তাই এদের উন্নতি কিভাবে করা যায়, সেটাই আমাদের চিন্তা। আমরা এ ধরনের কার্যকলাপই করি। করোনার সময় মানুষকে সহযোগিতা, ডেঙ্গুর সময় মানুষকে সহযোগিতা, বন্যার সময় মানুষকে সহযোগিতা এবং শীতকালে শীতের বস্ত্র বিতরণের কার্যক্রম আমরা পরিচালনা করি। আমরা মেডিকেল ক্যাম্পও করি বিভিন্ন এলাকায়।”
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইন ড য ক ষকর ব তরণ
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট