সোনারগাঁয়ে মাধ্যমিক শিক্ষার গুনগত  মানোন্নয়ন ও বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের  সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।

শনিবার সকালে সোনারগাঁয়ের জি আর ইন্সটিটিউট এর মিলনায়তনে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে মতবিনিময় ও কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।  

সোনারগাঁ সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের শিক্ষা বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড.

শায়লা নাসরিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গজারিয়া কলিমুল্লা কলেজের প্রভাষক সাইফুর রহমান আহসানী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, সোনারগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান অপু, ডেমরা কলেজের প্রিন্সিপাল ডঃ নুরে আলম ও সোনারগাঁ সংঘের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম পনির।

এ সময় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সালাউদ্দিন জুয়েল ৩৮টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও সংঘের যুগ্ম-সম্পাদক একে লুৎফুল কবির, সরকারি সফর আলী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. গিয়াস উদ্দিন, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক  আবুবকর সিদ্দিক মোল্লা, ডিস্ট্রিক্ট একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন  আদমজী নগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছোলাইমান খন্দকার, এডভোকেট আমির হোসেন, ব্যাংকার জুলহাস উদ্দিন,  সোনারগাঁ সংঘের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক  অধ্যাপক ডাঃ শহীদুল ইসলাম শাহীন সহ-প্রচার সম্পাদক দেওয়ান সামছুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক এ কে এম জানে আলম দীপু, সদস্য,অধ্যাপক মাহফুজুল হায়দার, ইঞ্জিনিয়ার মনিরুজ্জামান, মজিবুর রহমান, মেজর হামিদা আক্তার, মাহবুব, জিআর ইন্সটিটিউটের সভাপতি তুহিন মাহমুদ, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কাজল চন্দ্র পাল, সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সংঘের সহ-সাহিত্য প্রকাশনা সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক।

এর আগে  সোনারগাঁ সংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটির আয়োজনে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও করণীয় শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন ডা. গাজী জাহাঙ্গীর। এ পর্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ডাঃ আহমেদুল কবির মিলন।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুমাইয়া ইয়াকুব, সোনারগাঁ সংঘের সহসভাপতি কাজী আলমগীর এবং সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক ও সোনারগাঁ সংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ন কল জ র স ন রগ উপস থ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘আওয়ামী পুলিশ, বিএনপি পুলিশ’ তকমা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা

বাংলাদেশে পুলিশে পেশাদারি মনোভাব গড়ে না ওঠার জন্য এই বাহিনীকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহারকে দায়ী করছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহাম্মদ নুরুল হুদা। তিনি বলেছেন, বিভাজিত সমাজে ‘আওয়ামী পুলিশ, বিএনপি পুলিশ’—এমন নানা তকমা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।

আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কার: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। যৌথভাবে এ বৈঠক আয়োজন করে প্রথম আলো ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার কল্যাণ সমিতি। বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। একটি প্রবন্ধ তুলে ধরেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (অবসরপ্রাপ্ত) ও বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি ইয়াসমিন গফুর।

নিজের পেশাজীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, ‘আমি দুই সরকারপ্রধানের (সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গেই কাজ করেছি। অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেয়ে একটা ভদ্রতা, সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে হয়। দেখা করলে অনেক কথার পরও বা অল্প কথার পরও ‘এ কি আমাদের?’—এমন কথা শুনলে প্রথমেই বিব্রত বোধ করতে হয়।’

সরকারের পরিবর্তনে পুলিশে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতিতে প্রভাবিত হওয়ার উদাহরণ দিয়ে মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, ‘বাড়ি ফরিদপুর যদি হয় বা ফরিদপুরের আশপাশে হয়, কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্ট হবে না। আবার আরেক সময় বগুড়ায় বাড়ি, ঝিনাইদহে বাড়ি, দিনাজপুরের বাড়ি, তাহলে চাকরিতে নেওয়া যাবে না বা ক্ষেত্রবিশেষে পদোন্নতি হবে না।’ এ ধরনের মনোভাব থেকে বের হতে না পারলে পুলিশ বাহিনীর সংস্কার বা পেশাদারি মনোভাব ফেরানো কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরও আচরণের পরিবর্তন না হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে নুরুল হুদা বলেন, ‘এক অদ্ভুত ব্যাপার। এখানে দুই হাজারের মতো লোক মারা গেল। অথচ বিহেভিয়ারে চেঞ্জ নেই।’

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঠিকভাবে কাজ করতে না পারার অন্তরায় হিসেবে নিয়োগে দুর্নীতি এবং সমাজে বিভাজনকে চিহ্নিত করেন সাবেক এই পুলিশপ্রধান। তিনি বলেন, ‘এই যে প্রচুর সংখ্যার লোক পয়সা দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছে বা এখানে হলে...অনেক পয়সা হয়, এই অ্যাটিচিউড (আচরণ) থাকলে তো ল এনফোর্সমেন্ট (আইনশৃঙ্লা নিয়ন্ত্রণ) মুশকিল। আর ল এনফোর্সমেন্টের আরেকটা বড় জিনিস হচ্ছে আমি যে সমাজে কাজ করতে যাচ্ছি, সেই সমাজ কতখানি বিভাজিত।’

সংস্কারের পটভূমিতে স্বাধীন পুলিশ কমিশনের কর্মপদ্ধতি জানতে চেয়েছেন নুরুল হুদা। পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

এই গোলটেবিল বৈঠকে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার কল্যাণ সমিতির সভাপতি এম আকবর আলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান বক্তব্য দেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, পুলিশের অতিরিক্ত আইজি কাজী মো. ফজলুল করীম বৈঠকে অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত, সচিব কমিটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠাবে
  • পুলিশ লাইনসগুলো গোপন কারাগারে রূপান্তরিত হয়েছিল: নূর খান
  • মাঝে মধ্যে শুনতে হয়, ‘উনি কী আমাদের লোক’: আইজিপি
  • ‘আওয়ামী পুলিশ, বিএনপি পুলিশ’ তকমা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা
  • মবের ঘটনা নানাভাবে রাজনীতিকরণ করা হয়: এনসিপি নেতা আদীব