রাকসু নির্বাচন: পঞ্চমবারের মত মনোনয়ন বিতরণের সময় পরিবর্তন
Published: 1st, September 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের মনোনয়ন বিতরণের সময় রবিবার (৩১ আগস্ট) ছিল শেষ দিন। পঞ্চমবারের মতো মনোনয়ন বিতরণের সময় পরিবর্তন করে শেষদিন মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় রাকসুর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
রাকসু নির্বাচন: ডোপ টেস্টের জন্য ৫৭০ প্রার্থীর স্যাম্পল সংগ্রহ
রাকসু নির্বাচনে সাইবার বুলিং রোধে কমিটি গঠন
অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, “গতকালের (রবিবার) কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে আজ ও আগামীকাল (২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত রাকসু নির্বাচনের ফরম বিতরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী অন্যান্য সকল কার্যক্রম যথাসময়ে চলবে।”
তিনি বলেন, “প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার প্রদানের বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। উপাচার্য প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করে আগামীকালের মধ্যেই আমাদের এ বিষয়ে জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে রাকসুর নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর অপরিবর্তিত রেখে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এর আগে, প্রথমে ১৭ আগস্ট মনোনয়ন বিতরণ শুরুর কথা থাকলেও এর সময় পরিবর্তন করে ২১ আগস্ট করা হয়। পরে ২০ আগস্ট রাতে মনোনয়ন বিতরণের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে প্রশাসন। পরবর্তী সময়ে মনোনয়ন বিতরণ শুরু হয় ২৪ আগস্ট।
এছাড়া ২৬ আগস্ট জরুরি বৈঠকের পর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার জন্য ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এরপর ২৭ আগস্ট একই দিনে দুইবার তফসিল পরিবর্তন করা হয়। প্রথমে ১৩ দিন পিছিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়, কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে আবার পরিবর্তন করে ২৫ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প ট ম বর আগস ট র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।