২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা যে কোনো দল নিজেদের মূল একাদশের নিয়মিত ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দিয়ে বেঞ্চের শক্তির পরখ করবে। বিশেষ করে বড় কোনো প্রতিযোগিতায় মাঠে নামার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়া, পরীক্ষা-নিরীক্ষা একেবারেই স্বাভাবিক।

বাংলাদেশ আজ সেই ‘সাহস’ কী দেখাবে? নাকি নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশের মিশনে থাকা দল নিজেদের পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে নেমে সাফল্যের ষোলকলাপূর্ণ করবে? সন্ধ্যা ৬টায় দুই দল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটায় মাঠে নামবে। এর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলকে নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলবেই।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুই টি-টোয়েন্টিতে যথাক্রমে ৮ ও ৯ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। সাফল্যে দল উচ্ছ্বসিত। কিন্তু কয়েকদিন পরই যখন এশিয়া কাপ তখন ‘পুচকে’ দলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে, চেনা কন্ডিশনে খেলে কতটুকু আদর্শ প্রস্তুতি হচ্ছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। যদিও এসব নিয়ে থোরাই কেয়ার টিম ম্যানেজমেন্টের। সিলেটে দুই টি-টোয়েন্টির সাফল্যকে বড় করেই দেখছে দল। 

অথচ ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগের ঘটনাগুলো সবারই জানা। যেখানে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডকে ডেকে এনে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। অথচ বিশ্বকাপে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরেছিল। ‘ফেইক আত্মবিশ্বাসে’ ভরপুর হয়েছিল দল। তাতে ভুগেছিল বড় আসরে। 

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের গ্রুপের তিন প্রতিপক্ষ হংকং, আফগানস্তিান ও শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা পূর্ণ সদস্য দল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলছে। আফগানিস্তান শারজাহতে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছে। যাদের বিপক্ষে কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ সিরিজ হেরেছে। বাংলাদেশের প্রস্তুতি তাই কেমন হচ্ছে তা প্রশ্নই থেকে যাচ্ছে। 

দল যদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাহলে কাজী নুরুল হাসান সোহান আসতে পারেন। কার জায়গায় খেলবেন সেটাই প্রশ্ন। কেননা শেষ দিকে এখনও তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। এছাড়া সাইফ উদ্দিন ও শামীম হোসেন পাটোয়ারীরও একাদশে থাকার সুযোগ হয়নি। তারা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন কিনা সেটাই দেখার।
তাসকিন, মোস্তাফিজ দুই টি-টোয়েন্টিতেই ভালো করেছেন। তাদের বিশ্রাম দিয়ে একাদশে সাইফ উদ্দিন ও শরিফুলকে রাখতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে সোহান ও শামীম কোথায় খেলার সুযোগ পান সেটাই দেখার।

নেদারল্যান্ডসের জন্য এই ম্যাচটি সম্মান বাঁচানোর। তারা বাংলাদেশকে  এসেই হুমকি দিয়েছিল। বড় মঞ্চে শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ডাচরা বাংলাদেশকে হারিয়েছিল। সেই সুখস্মৃতিকে সঙ্গী করে এবার প্রথমবার বাংলাদেশের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলতে নামে দল। কিন্তু দুই ম্যাচে অহসায় আত্মসমর্পণে ম্যাচ জমাতে পারেননি তারা। শেষ ম্যাচে তাদের সামনে বড় সুযোগ নিজেদের মেলে ধরার। প্রমাণ করার।

লিটনের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টিতে ভালো সময়ই কাটাচ্ছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর পাকিস্তানকেও হারায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়েছে আগ্রাসন দেখিয়েই। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেননি তারা। ডাচদের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে নিশ্চিতভাবে পূর্ণতার স্বাদটাই পেতে চায় দল।   

ঢাকা/ইয়াসিন 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৪২ বছর পর নিউ জিল‌্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ইংল‌্যান্ড

১৯৮৩ সাল আবার মনে করাল ইংল‌্যান্ড। নিউ জিল‌্যান্ডে গিয়ে সেবার ইংল‌্যান্ড ৩-০ ব‌্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। ৪২ বছর পর একই অভিজ্ঞতা হলো এবার তাদের।

আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা নিউ জিল‌্যান্ড এবার আরো চেপে ধরেছিল ইংল‌্যান্ডকে। তবুও লড়াই করে ওয়েলিংটনে অতিথিরা ২২২ রানের পুঁজি পায়। হোয়াইটওয়াশের মিশনে থাকা নিউ জিল‌্যান্ডের ব‌্যাটিং তেমন ভালো হয়নি। লো স্কোরিং ম‌্যাচ জমে উঠে। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৪ ওভারে হাতে ২ উইকেট রেখে লক্ষ‌্যে পৌঁছে যায় কিউইরা। ১৯৮৩ সালের পর প্রথম নিউ জিল‌্যান্ড ইংল‌্যান্ডকে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করল।

টস হেরে ব‌্যাটিং করতে নেমে ইংল‌্যান্ড চরম বিপর্যয়ে পড়ে। ৯৭ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। ১০২ রানে তাদের শেষ স্বীকৃত ব‌্যাটসম‌্যান জস বাটলার (৩৮) আউট হন। তখন ধারণা করা হচ্ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাবে সাবেক বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়নরা।

কিন্তু সেখানে ঢাল হয়ে দাঁড়ান ব্রাইডন চার্স ও জেমি ওভারটন। দুজন ৫৮ রানের জুটি গড়েন। যেখানে ব্রাইডন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট উপহার দিয়ে ৪ ছক্কা ও ১ চারে ৩০ বলে ৩৬ রান করেন। ইংল‌্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি আসে তাদের ব‌্যাটেই।

শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে ওভারটন আউট হন ৪১তম ওভারে। ৬২ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করেন ডানহাতি ব‌্যাটসম‌্যান। এর আগে জেমি স্মিথ (৫), বেন ডাকেট (৮), জো রুট (২) ও হ‌্যারি ব্রুক (৬) দ্রুত আউট হন। দলের প্রথম ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন পাঁচ নম্বরে নামা জ‌্যাকব মিচেল। তবুও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।

নিউ জিল‌্যান্ডের বোলিং ছিল নিয়ন্ত্রিত। ৬৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা ছিলেন ব্লায়ার টিকনার। ৩ উইকেট পেয়েছেন জ‌্যাকব টাফি। ২টি পেয়েছেন জ‌্যাক ফলকস।

জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৮ রান পায় কিউইরা। ডেভন কনওয়ে ৩৪ ও রাচীন রাভিন্দ্রা ৪৬ রান করেন। এরপর ছন্দ হারিয়ে ব‌্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু ডার্ল মিচেলের অনবদ‌্য ৪৪ ও শেষ দিকে মিচেল স্টানারের ২৭ রানে নিউ জিল‌্যান্ড লড়াইয়ে ফেরে। শেষ দিকে জ‌্যাক ফলকসের ১৪ ও ব্লায়ার টিকনারের ১৮ রানে নিউ জিল‌্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়।

ইংলিশদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ওভারটন ও স‌্যাম কারান।

এই সিরিজে ইংল‌্যান্ডের ব‌্যাটিং একটুও ভালো হয়নি। প্রথম ম‌্যাচে ২২৩ ও দ্বিতীয়টিতে ১৭৫ রানে গুটিয়ে যায়। নিউ জিল‌্যান্ড জয় পায় যথাক্রমে ৪ ও ৫ উইকেটে। শেষ ম‌্যাচে খানিকটা প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়লেও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারেনি ইংল‌্যান্ড।

বল হাতে ৪ উইকেট ও ব‌্যাটিংয়ে ১৮ রান করে ম‌্যাচ সেরা নির্বাচিত হন টিকনার। ১৭৮ রান করে সিরিজ সেরা ডার্ল মিচেল।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪২ বছর পর নিউ জিল‌্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ইংল‌্যান্ড
  • হার, হতাশা, হাহাকার
  • চট্টগ্রামে ৩-০ নাকি ২-১!