‘দোসর ইনু-মেননরা গ্রেপ্তার হলে জিএম কাদের কেন নয়?’
Published: 3rd, September 2025 GMT
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ, জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মো রাশেদ খাঁন।
তিনি বলেছেন, “হাসিনার দোসর হিসেবে রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুরা গ্রেপ্তার হলে জিএম কাদের কেন গ্রেপ্তার হয় না? কারা কাদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে? এবার কিন্তু জাতীয় পার্টিকে বিরোধীদল বানানোর কোন সুযোগ নেই। আওয়ামীলীগ ফ্যাসিস্ট হিসেবে নিষিদ্ধ হয়েছে, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।”
আরো পড়ুন:
নুরকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
নুরের ওপর হামলার পর সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে: রাশেদ খান
নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের উপর হামলাসহ তিন দাবিতে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্টন এলাকায় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, দলটির নেতাকর্মীরা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পল্টন মোড় অবরোধ করেন। এ সময় তারা জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। এতে বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা বিক্ষোভে ব্যস্ততম এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভকারীরা সড়ক ছেড়ে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিচার অবশ্যই হতে হবে। এই হামলা শুধু নুরুল হক নুরের উপর নয়, এটা গণঅভ্যুত্থানের উপর হামলা। সুতরাং নুরুল হক নুরের ওপর হামলার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বাংলাদেশের দল নয়। এরা ভারতের দল। আপার মতো জাপাকেও ভারতের পাঠাতে হবে।”
তিনি বলেন, “এই সমাবেশ আমাদের ঐক্য প্রতিষ্ঠার সমাবেশ। আমাদের মধ্যে ঐক্য না থাকলে আওয়ামী লীগ আবারো ফিরে আসবে। আমরা বিভাজিত হওয়ার সুযোগে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি অংশ এভাবে হামলার সুযোগ পেয়েছে। এর দায় সরকার এড়াতে পারে না। সরকার শুধু সহানুভূতি দেখিয়ে মাফ পাবে না। দোষীদের বিচার করতে হবে। এই ঘটনার বিচার না হলে পুরো বাহিনীকে কলুষিত করা হবে।”
তিনি আরো বলেন, “কিন্তু আমরা বারবার বলছি, আমরা পুরো বাহিনী দুটিকে দোষারোপ করতে চাই না। আজকের এই অবরোধের জন্য আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি। ঠাণ্ডা কথা সরকারের কানে ঢোকে না, যে কারণে সড়ক অবরোধ করেছে নেতাকর্মীরা।”
এ সময় ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’ এর ব্যানারে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় শাহবাগ জাদুঘরের সামনে সংহতি সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন রাশেদ খান।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ আব্দুজ জাহেরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দলটির মুখপাত্র ফারুক হাসান, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান আল আল মামুন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, মাহফুজুর রহমান খান, রবিউল হাসান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ঈসমাইল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র সভাপতি নেওয়াজ খান বাপ্পি প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র ল হক ন র ন র ল হক ন র ন ত কর ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।
আরো পড়ুন:
নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়নি: ঢামেক পরিচালক
গণঅধিকারের সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতা: জাতীয় পার্টিকে দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “নুরুল হক নুরকে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন-১ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পরে বিকেল পোনে ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।”
এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে সংঘর্ষ হয়, এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
নুরুল হক নুরকে প্রথমে রাজধানীর ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ঢাকা/এসবি