মুরগির কাঁচা মাংসে ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু লেগে থাকে। রান্না করার আগে মুরগির মাংস ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া উচিত। চার ধাপে ধুয়ে মুরগির মাংস জীবাণুমুক্ত করে নিতে পারেন।

ইটিভি ভারত এর তথ্য, ‘‘সালমোনেলা এবং ক্যাম্পাইলোব্যাক্টরের মতো সাধারণ ব্যাকটেরিয়া পমুরগির মাংসে থাকে ৷ যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে পারে। এই  ব্যাকটেরিয়াগুলো সংক্রমণের ফলে জ্বর, বমি এবং ডায়রিয়া-সহ গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে ৷ মুরগির মাংস ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে না নিলে-সেই মাংস খেয়ে শিশু, বয়স্ক এবং গর্ভবতী মায়েরা বেশি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে।’’ 

আরো পড়ুন:

২০ মিনিট ঘুমানোর ঘর ‘ন্যাপ ক্যাফে’

অন্তঃসত্ত্বা মায়ের জন্য ভালো ‘সবজি পাকোড়া’

ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে, মুছে নিন
প্রথমে মুরগির মাংস ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর পেপার তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। 

ভিনেগার বা লেবুর জলে ডুবিয়ে রাখুন
মুরগির মাংস পরিষ্কার করতে ভিনেগার বা লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এই দুই উপাদান ব্যাকটেরিয়া দূর করতে পারে। একটি বড় বাটিতে পরিমাণ মতো ভিনেগার নিয়ে নিন। তাতে এক চামচ ভিনেগার বা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দিন। এবার এই পানিতে মুরগির মাংস ১০-১৫ মিনিটের জন্য ডুবিয়ে রাখুন। তারপরে মাংস ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। 

লবণ-পানিতে ডুবিয়ে রাখতে পারেন
সহজ উপায়ে মাংস ধুতে হলে লবণের সাহায্য নিন। লবণ-পানিতে মুরগির মাংস ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া যায়।  এজন্য একটি বড় বাটিতে ঠান্ডা পানি নিয়ে নিন। এতে দুই চা চামচ লবণ ভালো করে গুলিয়ে নিন। এ পর্যায়ে লবণ পানিতে কাঁচা মাংস ১০-১৫ মিনিটের জন্য ডুবিয়ে রাখুন। তারপরে তুলে কাগজের টিস্যু দিয়ে মাংস মুছে নিন। 

স্কিন ও ফ্যাট বাদ দিয়ে দিতে পারেন
মুরগির মাংস পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত করতে  স্কিন ও চর্বি বাদ দিয়ে দিতে পারেন। চামড়াসহ মুরগির মাংস খেতে ভালো লাগলেও এতে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ব ণ ম ক ত কর ম রগ র ম

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’

ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ