নওয়াজ শরীফ ও মরিয়ম নওয়াজের সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
Published: 9th, September 2025 GMT
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মুসলিম লীগ-এন সভাপতি নওয়াজ শরীফ এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে নওয়াজ শরীফের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এ সাক্ষাতে তারা দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো.
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানে ক্রিকেট মাঠে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ১
পাকিস্তানে রাজনৈতিক সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ১৩
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক উন্নত করতে চায়। তিনি পাঞ্জাবের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে কৃষি ও প্রযুক্তিতে সহয়তার জন্য অনুরোধ জানান। এছাড়া, শিক্ষাক্ষেত্রে বৃত্তি প্রদানের জন্যও তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
নওয়াজ শরীফ বলেন, পাকিস্তানি জনগণের হৃদয়ে এখনো বাংলাদেশি ভাইদের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে। দুটি দেশের মধ্যে পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর এখনই উপযুক্ত সময়। তিনি দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক সীমান্ত পেরিয়ে প্রজন্ম পরম্পরায় ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। বাণিজ্য ও প্রত্যক্ষ যোগাযোগ দুই দেশের জনগণের এই সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করবে। তিনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম ও বিভিন্নক্ষেত্রে নারীর অন্তর্ভুক্তির প্রশংসা করেন। গ্রিন এনার্জিসহ বিভিন্নক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন মরিয়ম নওয়াজ।
বন্যা ব্যবস্থাপনা ও কৃষিক্ষেত্রে পাঞ্জাব ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্বকেও স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানান মরিয়ম নওয়াজ। তিনি দুই দেশের বন্ধুত্বকে আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য স্থায়ী অংশীদারিত্বে রূপান্তরের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাতকালে উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, কাউন্সিলর (প্রেস) মো. তৈয়ব আলীসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশনে যারা আছেন, তারা নিজেদের কাজে ফিরে যান: খসরু
ঐকমত্য কমিশনে যারা আছেন, তারা আগে যে কাজ করতেন, তাদেরকে সে কাজে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী বিভাগের ব্যবসায়ীদের এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ জানান।
ঐকমত্য কমিশনের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলে আমীর খসরু বলেন, “জোর করে আরেকটি দলের অথবা দুটি দলের বা তিনটি দলের মতামত বাকি দলগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা একটা রাজনৈতিক দল, তারাও একটি রাজনৈতিক দল। এখানে ঐকমত্যের বাইরে গিয়ে তাদের দাবি আমাদের ওপর চাপাতে চাচ্ছে, জনগণের ওপর চাপাতে চাচ্ছে। অথচ, ঐকমত্য কমিশন করার উদ্দেশ্য ছিল, ঐকমত্য যতটুকু হবে, সেটা নিয়ে আমরা জনগণের কাছে যাব।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “ঐকমত্য হয়েছে, সই হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে এখন নতুন নতুন দাবি নিয়ে আসছে। তাদের দাবি মানতে হবে, না মানলে এটা হবে, সেটা হবে...। আবার তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে ঐকমত্যের কিছু লোকজন। তাদেরও আবার মতামত আছে। রাজনীতিবিদদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে তারা তাদেরটা চাপাতে চাচ্ছে। আবার ঐকমত্য কমিশনেরও একটা নিজস্ব মতামত আছে। ঐকমত্য কমিশনের মতামতের জন্য তো তাদেরকে সেখানে রাখা হয়নি। এখন তাদেরও মতামত আছে এবং ওটা আমাদেরকে মানতে হবে।”
দেশের মানুষকেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “ঐকমত্য কমিশনে যারা আছেন, যাদের দাবি রাজনীতিবিদদের ওপর চাপাতে চান, জনগণের ওপর চাপাতে চান; তাদের প্রতি আমার অনুরোধ- আপনারা যে যেই কাজ করতেন আগে, ওই জায়গায় ফিরে যান। বাংলাদেশের মানুষকে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দেন। আমি অনুরোধ করছি, আপনারা স্ব স্ব কাজে ফিরে যান। বাংলাদেশের মানুষকে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দয়া করে তাদের ওপরেই ছেড়ে দেন। আপনাদেরকে এই দায়িত্ব কেউ দেয় নাই।”
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে তাদের সিদ্ধান্ত দেবে। যেসব দল তাদের দাবি-দাওয়া চায়, তাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে তো। জনগণের মতামত নিতে হবে তো। জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে তো। মতামত জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া চলবে না।”
নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে, অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, “ব্যবসায়ীরা আমাকে প্রতিনিয়ত বলছেন, ফেব্রুয়ারি নয়; পারলে এখনই নির্বাচন করে আমাদেরকে একটু মুক্ত করেন। আমাদের ব্যবসা ধ্বংস হওয়ার উপক্রম। আমরা কোনো বিনিয়োগ করতে পারছি না। বিদেশিরা কোনো বিনিয়োগ করছে না। সুতরাং, এই নির্বাচনকে যারা বিলম্বিত করতে চায় তাদের স্বার্থের জন্য, এখানে ব্যবসায়ীদেরকে সোচ্চার হতে হবে। দ্রুতই নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।”
রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই বিভাগীয় ব্যবসায়ী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরাম এর আয়োজন করে। এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ও সাবেক সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনুসহ রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান।
ঢাকা/কেয়া/রফিক