ডাকসু নির্বাচন: টিএসসিতে নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন
Published: 9th, September 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। সকাল থেকেই বিভিন্ন হলে নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ রয়েছে চোখে পড়ার মতো।
রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি)। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ভোটগ্রহণ হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে। ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্রে কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা এবং শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন ইউল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে।
সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে টিএসসিতে। সকাল থেকেই টিএসসির প্রবেশপথ থেকে ডাস চত্বর হয়ে মূল সড়ক পর্যন্ত লম্বা লাইন তৈরি হয় নারী ভোটারদের। এরপরও দলে দলে শিক্ষার্থীরা হল থেকে এসে উৎসবের আবহে ভোট দিচ্ছেন।
রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী মুক্তা বলেন, “প্রথমবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। তাই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে এসেছি।”
ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো ক্যাম্পাস ঘিরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল দিচ্ছে নিয়মিত। গতকাল রাত থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি প্রবেশপথে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তার কারণে সব গেট বন্ধ রেখে কেবল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী এবং জরুরি পরিষেবার গাড়িকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”
তবে তিন স্তরের নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা থাকলেও কোথাও তাদের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
ঢাকা/সৌরভ/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হল র শ ক ষ র থ ট এসস
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে উৎসবমুখর পরিবেশে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত
সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বন্দরে উৎসবমুখর পরিবেশে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে ।
এ উপলক্ষে শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সরকার আশরাফুল ইসলাম, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা মতিউর রহমান, উপজেলা সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির কোষাধ্যক্ষ নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা বলেন, সমবায় হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম।
তারা আরও বলেন, সমবায় কেবল আর্থিক সংগঠন নয়, এটি একটি মানবিক আন্দোলনযা একে অপরের প্রতি সহযোগিতা ও ন্যায্য বণ্টনের মানসিকতা তৈরি করে।
আলোচনা সভায় বক্তারা সরকারি বিভিন্ন নীতি সহায়তার মাধ্যমে সমবায় খাতকে আরও গতিশীল করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, সঠিক নেতৃত্ব ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে সমবায় আন্দোলন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানের শেষে সফল সমবায় সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন অতিথিরা।
র্যালিতে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সমবায় সমিতির প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেন।