জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেছেন, “গবেষণাকে আন্তর্জাতিক মানে নিতে অভিনব চিন্তা জরুরি। পাশাপাশি আমাদের গবেষণার বিষয়বস্তুতে বৈচিত্র্য, প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োগযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।”

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের কনফারেন্স রুমে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাবনা রিভিউ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান রিভিউয়ার হিসেবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরো পড়ুন:

জকসু নির্বাচন ও বৃত্তি দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

অবৈধ বাসস্ট্যান্ড সরাতে জবি শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা

উপাচার্য বলেন, “গবেষণার গুণগত মান বজায় রাখতে রিভিউয়ারদের নিরপেক্ষ মতামত অপরিহার্য। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহকারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করলে তারা দক্ষতা অর্জন, কিছু আর্থিক সুবিধা এবং নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করবে। একইসঙ্গে তাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গবেষণাকে আরো আকর্ষণীয় ও মানসম্মত করে তুলবে।”

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.

সাবিনা শরমীন বলেন, “রিভিউ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানসম্মত গবেষণা নিশ্চিত হবে এবং এটি নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।”

অনুষদভিত্তিক রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল বালা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সানজিদা ফারহানা, আইন অনুষদের ডিন জনাব খ্রীষ্টিন রিচার্ডসন, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মল্লিক আকরাম হোসেন এবং চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহা. আলপ্তগীন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রিভিউ কমিটির সদস্য সচিব ও গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও এ কার্যক্রমে রিভিউয়ার হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। চার দিনব্যাপী এ রিভিউ কার্যক্রম চলবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন অন ষ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ