নেপালের প্রচলিত রাজনীতিতে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে তরুণদের মধ্যে নবজাগরণের ঢেউ তোলার নেপথ্যে কেউ না কেউ কাজ করেছেন। যিনি এই কাজটি করেছেন তিনি কোনো রাজনীতিবিদ নন। বরং তিনি একজন স্বেচ্ছাসেবী কর্মী এবং সন্তানহারা পিতা। নেপালের সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ব্যক্তিটি হচ্ছেন ৩০ বছর বয়সী সুদান গুরুং। 

২০১৫ সালে নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পে নিজের সন্তানকে হারান সুদান। এরপরই তিনি ‘হামি নেপাল’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এই এনজিও-র মাধ্যমে নেপালের প্রান্তিক মানুষদের জন্য কাজ শুরু করেন তিনি। মূলত ছাত্র-যুবদের দিয়ে পরিচালিত হতো এই সংগঠন। ধীরে ধীরে নেপালের ছাত্র-যুবদের কাছে জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন সুদান গুরুং। পরবর্তীকালে বিপি কৈরালা ইনস্টিটিউটে দুর্নীতির প্রতিবাদ করে আলোচনায় চলে আসেন তিনি।

নেপালের সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, সরকারের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ চলছিলই। এর মধ্যেই ‘হামি নেপাল’-এর সভাপতি সুদান ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি সরকারবিরোধী প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তার বার্তা ছিল, স্কুলের পোশাক পরে হাতে বই নিয়ে মিছিল করতে হবে। যদিও শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এর মধ্যেই ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করে কেপি ওলি শর্মার সরকার। যাকে জনতার কণ্ঠরোধ হিসাবেই দেখেছে নেপালের ছাত্র-যুবকে। এরপরেই শুরু হয় পথে নেমে বিপ্লব, যার ফলে মঙ্গলবার পতন ঘটে ওলি সরকারের।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ