দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে বাধ্যতামূলক অবসর, একজনকে অবনমন
Published: 11th, September 2025 GMT
পাবনার রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং একজনকে নিম্নবেতন গ্রেডে ডিমোশন (অবনমন) দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন, পাবনা গণপূর্ত উপবিভাগ উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. ফজলে হক, রাজশাহী গণপূর্ত জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম, পিএন্ডডি) মোসা.
গত বুধবার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে তাদের তিন জনকে গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে পাবনা গণপূর্ত উপবিভাগ উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. ফজলে হক ও রাজশাহী গণপূর্ত জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম, পিএন্ডডি) মোসা. শাহনাজ আখতারকে দোষী সাব্যস্ত করে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৪ এর উপবিধি ৩ এর (খ) অনুযায়ী ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান' গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, উপ-সহকারী প্রকৌশলী খোরশেদা ইয়াছরিবাকে ‘অসদাচরণ' এর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী একই বিধিমালার বিধি ৪ এর উপবিধি ৩ (ক) অনুযায়ী ‘নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ' গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, তিন উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজশাহী গণপূর্ত সার্কেলে কর্মরত থাকা অবস্থায় রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের (২০১৯ সালে নির্মাণাধীন) ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। বিষয়টি সে সময়ে বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়। উক্ত বিষয়ে ২০১৯ সালের ১৯ মে গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত পৃথক তদন্ত কমিটি কর্তৃক দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকল্পের কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। পরবর্তীতে বিভাগীয় তদন্তেও ‘অসদাচরণ' এর অভিযোগ সন্দেহতাতীত প্রমাণিত হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন প্রস্তুতের সাথে সরাসরি জড়িত থেকে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করায় মো. ফজলে হক ও মোসা. শাহনাজ আখতার ‘অসদাচরণ' এর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৪ এর উপবিধি ৩ এর (খ) অনুযায়ী তাদের ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান' গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী খোরশেদা ইয়াছরিবা অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন প্রস্তুতের সাথে সরাসরি জড়িত থেকে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করায় তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ‘অসদাচরণ' এর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী একই বিধিমালার বিধি ৪ এর উপবিধি ৩ (ক) অনুযায়ী তাকে ‘নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ' গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ অন য য় অসদ চরণ গণপ র ত প রক শ সরক র তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ইতিহাসের দ্রুততম মানবের এখন সিঁড়ি ভাঙতে দম ফুরিয়ে আসে
হঠাৎ মনে হতে পারে, কথাবার্তায় লোকটা এখন তো বেশ সাদামাটা। তা-ই কি?
মোটেও না। চেনা সেই ক্যারিশমা যে চলে যায়নি, সেটা বোঝা গেল ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে উসাইন বোল্ট যখন সোজা বলে দিলেন, কেন তাঁর রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেননি। মনে হবে, এই তো সেই বোল্ট। আবার একটু ধাক্কাও লাগবে পরের কথাগুলো শুনলে। একসময়ের সুপারম্যান এখন তাহলে এমন আটপৌরে জীবন কাটাচ্ছেন! যে জীবনে নাকি সিঁড়ি ভেঙে ওঠার সময় তাঁর দম ফুরিয়ে আসে! অথচ এই লোকটাই একসময় ১০০ মিটার দৌড়েছেন ৯.৫৮ সেকেন্ডে।
আরও পড়ুনআকাশছোঁয়ার অভিযানে ডুপ্লান্টিসের আবারও বিশ্ব রেকর্ড১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫টেলিগ্রাফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারটা বোল্ট দিয়েছেন টোকিওতে। বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ দেখতে গেছেন সেখানে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ২০১৭ সালে অবসরের পর এই প্রথম অ্যাথলেটিকসের কোনো বড় আসর দেখতে গেলেন আটবারের এই অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। জাপানি দর্শকেরা অবশ্য তাঁকে দেখে ঠিকই উল্লাসে ফেটে পড়েছে। তবে বোল্ট এখন বদলে গেছেন অনেকটাই। জ্যামাইকায় এখন তাঁর ঘরোয়া জীবনটা আলোয় থাকার সময়ের সেই জীবনের সঙ্গে একেবারেই মেলে না।
অবসর নেওয়ার পর এই প্রথম অ্যাথলেটিকসের কোনো বড় আসরে এলেন বোল্ট। টোকিওতে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে