পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার ১০ সুবিধা
Published: 17th, September 2025 GMT
সঞ্চয়পত্র কেনার কথা চিন্তা করলেই প্রথমে পরিবার সঞ্চয়পত্র নামটি সবার আগে আসে। পরিবার সঞ্চয়পত্র মধ্যবিত্ত নারীদের মধ্যে জনপ্রিয় সঞ্চয় স্কিম। প্রতি মাসে মুনাফা তোলা যায়। আবার মুনাফাও ব্যাংকের সুদের হারের চেয়ে বেশি।
এসব কারণে পরিবার সঞ্চয়পত্র গত দেড় দশকের বেশি সময় জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। ২০০৯ সালে এই পরিবার সঞ্চয়পত্র প্রবর্তন করা হয়।
এবার দেখা যাক, কী কী সুবিধার কারণে এই সঞ্চয়পত্র বেশি কেনা হয়।
১.
উচ্চ মুনাফা
পরিবার সঞ্চয়পত্রে অন্যান্য সঞ্চয়পত্রের তুলনায় আকর্ষণীয় মুনাফা দিয়ে থাকে। এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দুই ভাগে বিভক্ত। যেমন সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ বছর মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে মেয়াদ পূর্ণ করলে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়।
২. ব্যাংকের চেয়ে বেশি মুনাফা
পরিবার সঞ্চয়পত্রের এই মুনাফার হার ব্যাংকের সুদের হারের চেয়ে বেশি। কারণ, ভালো ব্যাংকে আমানতের সুদের হার এখন ১০ শতাংশের আশপাশে আছে। কোনো কোনো ব্যাংক ১০ শতাংশের বেশি সুদ দেয়, তবে তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
৩. নারীদের জন্য বিশেষভাবে প্রণোদনা
এই সঞ্চয়পত্র মূলত নারীরা কিনতে পারেন। ১৮ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো নারী এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী নারী-পুরুষ এই সঞ্চয় কিনতে পারবেন। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত একক নামে পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।
৪. নিরাপত্তা
সরকারি গ্যারান্টি থাকায় মূলধন হারানোর ঝুঁকি নেই। আপনার বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত থাকবে। বেসরকারি দুর্বল ব্যাংকে এফডিআর করে প্রয়োজনের সময় টাকা না পাওয়ার নজির আছে।
৫. নিয়মিত আয়
এই সঞ্চয়পত্রের মুনাফা প্রতি মাসেই তোলা যায়। তাই এটি প্রতি মাসের আয় হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে, যা পরিবারের খরচে কাজে লাগে।
৬. কর–সুবিধা
নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে উৎসে কর কেটে নেওয়া হলেও আলাদা ঝামেলা নেই। ৫ লাখ টাকার বিনিয়োগ হলে ৫ শতাংশ এবং ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে রাখা হয়। মনে রাখতে হবে, এই উৎসে কর মুনাফার ওপর বসে। এ ছাড়া সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ দেখিয়ে বার্ষিক কর রেয়াতও পাওয়া যায়।
৭. মধ্যবিত্ত ও গৃহিণীদের জন্য উপযোগী
ঝুঁকিমুক্ত ও নিশ্চিত মুনাফা থাকায় মধ্যবিত্ত এবং গৃহিণীদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয়। চিকিৎসার খরচসহ বিভিন্ন ধরনের বিপদআপদে কাজে লাগান অনেক গৃহিণী।
৮. সহজে কেনা যায়
জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা, বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা ও ডাকঘর থেকে এই সঞ্চয়পত্র কেনা ও ভাঙানো যায়। জাতীয় পরিচয়পত্র লাগে। এ ছাড়া তেমন কাগজপত্র লাগে না।
৯. অগ্রিম ভাঙানো সম্ভব
প্রয়োজনে মেয়াদপূর্তির আগেই ভাঙানো যায়। যদিও তখন মুনাফা কিছুটা কমে যায়।
১০. সামাজিক সুরক্ষা
পরিবারকে আর্থিকভাবে সুরক্ষিত রাখার জন্য এটি নির্ভরযোগ্য একটি মাধ্যম। অর্থনীতির ভাষায় এটি আর্থিক পণ্য হলেও বাস্তবে এই সঞ্চয়পত্র অনেকের জন্য সামাজিক সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ