স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, মিউজিক্যাল ফিল্ম ও ডকুফিল্ম প্রদর্শনের নতুন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করল ‘হোম থিয়েটার’। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেশীয় এই ওটিটি প্ল্যাটফর্মটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। এদিন উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে মুক্তি পেয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নারী তুমি আওয়াজ তোলো’।
নারীর প্রতি অসামাজিক আচরণ, অবিচার ও বৈষম্যের বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে। নির্মাতা আবু রায়হান জুয়েল জানান, নারীর কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করে তোলা ও সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে।
এতে অভিনয় করেছেন সমু চৌধুরী, সাদিয়া আফরিন মাহি, প্রহেলিকা খান, আফরোজা শশী ও রাখি চৌধুরী প্রমুখ।
হোম থিয়েটারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রায়হান জুয়েল বলেন, “সামাজিক অঙ্গীকারকে মূল ভিত্তি ধরে আমরা এমন গল্প বলতে চাই, যা সচেতনতা তৈরি করবে এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা ছড়িয়ে দেবে। তারই অংশ হিসেবে ‘নারী তুমি আওয়াজ তোলো’ প্রকাশ্যে আনা হলো।”
চেয়ারম্যান তৌহিদ শুভ জানান, “হোম থিয়েটার কেবল একটি প্ল্যাটফর্ম নয়—এটি একটি আন্দোলন। এখানে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি সমাজে ইতিবাচক বার্তা ছড়ানোই মূল লক্ষ্য। আপাতত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কনটেন্ট প্রকাশ হবে, পরবর্তীতে অ্যাপেও পাওয়া যাবে। বর্তমানে অ্যাপ নির্মাণাধীন।”
উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি ও অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম, অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি নাট্যকর্মী আজাদ আবুল কালাম, পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী, সকাল আহমেদ, অভিনেতা ইমতিয়াজ বর্ষণ, অভিনেত্রী প্রসুন আজাদসহ অনেকে।
ঢাকা/রাহাত/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের জন্য বিএনপিকে দায়ী করলেন আখতার হোসেন
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা পঁচাত্তরের যে ঘটনাপ্রবাহ দেখি, মুক্তিযুদ্ধের পর একটি ঘটনাপ্রবাহ দেখি, এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার যেমন আওয়ামী লীগের এবং বর্তমান বাংলাদেশের যে সংকট তৈরি হয়েছে, এই সংকটের দায়ভারও কিন্তু বিএনপির ওপরে গিয়ে বর্তায়।’
বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরের জন্য ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘ আলোচনার কথা উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে বিএনপি যে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) দিয়েছে, সেগুলো যদি থাকে তাহলে এনসিপির দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলো অর্জন করা সম্ভব হবে না। বিএনপির নোট অব ডিসেন্টের বিপরীতে এনসিপির দেওয়া নোট অব ডিসেন্ট বহাল না রাখলে জুলাই সনদে অর্জনের ছিটেফোঁটাও থাকবে না বলে মনে করেন এনসিপির এই নেতা।
‘মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার অনিবার্য পরিণতি: নভেম্বর, ১৯৭৫’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন আখতার হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করে এনসিপির মিডিয়া সেল।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ এনসিপির প্রধান লক্ষ্য উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশটাকে নতুন করে গড়তে হলে আমাদের দলাদলি বাদ দিতে হবে। আমাদের দলীয় সংকীর্ণ চিন্তা বাদ দিতে হবে এবং বাংলাদেশের পক্ষে যে সংস্কার উপস্থাপনাগুলো আছে, তার পক্ষে আমাদের সকলকে অংশগ্রহণ করতে হবে।’
এনসিপির নিবন্ধনের খবরে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির নিবন্ধন পাবে কি পাবে না; জনগণ জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে আছে কি নাই, সে বিষয় নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কটাক্ষ করেছে। কিন্তু আমরা দিন শেষে দেখিয়ে দিয়েছি যে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে আছে এবং বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় নাগরিক পার্টিকে সামনের নির্বাচনে যে সমর্থন ব্যক্ত করবে।’
বিএনপি বাংলাদেশে একদলীয় গণতন্ত্র কায়েম করতে চায় উল্লেখ করে আলোচনা সভায় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশে একদলীয় গণতন্ত্র তারা কায়েম করতে চাচ্ছে, গণতন্ত্রের কথা বলছে কিন্তু এটা শুধু জিয়া ফ্যামিলির (জিয়াউর রহমানের পরিবার) গণতন্ত্র। আমরা তেমন গণতন্ত্র বাংলাদেশে চাই না।’ এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীকে ধর্মের নামে রাজনীতি না করারও আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন, জয়নাল আবেদীন শিশির প্রমুখ।