বলিউডের ঝলমলে দুনিয়ায় যেখানে পুরস্কারই অনেক সময় অভিনেতার সাফল্যের মানদণ্ড, সেখানে ইয়ামি গৌতম যেন ব্যতিক্রম। বারবার মনোনয়ন পেয়েও কোনো বড় পুরস্কার জেতেননি তিনি, তবু তাঁর আত্মবিশ্বাস অটুট। ‘আর্টিকেল ৩৭০’ ও ‘আ থার্সডে’-এর মতো চলচ্চিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে ইতিমধ্যেই নিজের আলাদা জায়গা তৈরি করেছেন এই অভিনেত্রী। এখন তিনি প্রস্তুত তাঁর পরবর্তী ছবি ‘হক’ মুক্তির অপেক্ষায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামি খোলামেলা কথা বলেছেন পুরস্কার, স্বীকৃতি ও সাফল্য নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে।

ইয়ামির নতুন ছবি ‘হক’—একটি লিগ্যাল ড্রামা, যেখানে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছেন ইমরান হাশমি। শাহ বানু মামলার অনুপ্রেরণায় তৈরি এই ছবিতে ইয়ামি এক মুসলিম নারীর চরিত্রে, যিনি তালাকের পর নিজের ভরণপোষণের দাবিতে আদালতে লড়াই করেন। শাহিদ খাট্টার পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পাবে ৭ নভেম্বর। আদালতের নাটক আর সামাজিক মন্তব্যের মিশেলে এটি দর্শকদের ভাবাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

‘হক’ ছবিতে ইয়ামি গৌতম। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

শুল্ক না দেওয়ায় সাবেক এমপিদের ৩১ বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দিল এনবিআর

আওয়ামী লীগ আমলে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা সাবেক সংসদ সদস্যদের বিলাসবহুল ৩১টি গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তাঁরা সবাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন।

শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা এসব গাড়ি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের জন্য আজ বুধবার এ–সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করেছে এনবিআর। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। যথাযথ শুল্ক না দেওয়ায় এসব গাড়ি যানবাহন অধিদপ্তরে দিচ্ছে এনবিআর।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কয়েকজন সদস্যের বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না, জানতে চেয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস নির্দেশনা চায়। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর এনবিআর চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসকে জানিয়ে দেয়, আমদানি করা গাড়িগুলো খালাসের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না এবং আমদানিকারকেরা স্বাভাবিক হারে শুল্ক-কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো খালাস করতে পারবেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনা অনুসারে, শুল্ক-কর পরিশোধ করে আমদানি করা ৩১টি গাড়ি আমদানিকারকদের কেউ খালাস করেননি। তাই ২০২৩ সালের কাস্টমস আইনের ধারা ৯৪(৩) অনুসারে গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। ওই নিলামে কোনো নিলামকারী গাড়িগুলোর যৌক্তিক মূল্য বিড না করায় গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি না করে অতি মূল্যবান গাড়িগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের জন্য এই বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।

শুল্ক-কর কত

শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ওই ৩১টি গাড়ির মোট প্রদেয় শুল্ক-করের পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। উচ্চ মূল্যের এসব গাড়ির মধ্যে আরোপযোগ্য শুল্ক-করের সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন শুল্ক-করের পরিমাণ ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।

এনবিআর আরও বলছে, সংশ্লিষ্ট গাড়ির আমদানিকারক ভবিষ্যতে প্রযোজ্য সমুদয় শুল্ক ও কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো আইনি পদ্ধতিতে খালাস করতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস তা আমদানিকারকের অনুকূলে খালাস করতে পারবে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস আমদানিকারকের অনুকূলে খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ওই গাড়িগুলো সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত দেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ