ঢাকাই সিনেমার নন্দিত নায়ক বাপ্পারাজ, যার ঠোঁটে বিরহের গান একসময় দর্শকের হৃদয়ে গভীর দাগ কেটেছিল। দীর্ঘদিন রুপালি পর্দা থেকে দূরে থাকা এই তারকা এবার সিনেমায় ফিরছেন। ‘বিদায়’ শিরোনামের সিনেমায় দেখা যাবে তাকে। এটি পরিচালনা করছেন তরুণ নির্মাতা মেহেদি হাসান।
গত ১৭ অক্টোবর থেকে সুনামগঞ্জের তাহেরপুরে শুরু হয়েছে সিনেমাটির শুটিং। এতে বাপ্পারাজের সঙ্গে কাজ করছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। তাছাড়াও অভিনয় করছেন ফজলুর রহমান বাবু, ফারুক আহমেদসহ একঝাঁক তারকা শিল্পী।
আরো পড়ুন:
সালমান শাহ হত্যা মামলায় স্ত্রী সামিরা-ডনসহ ১১ জন আসামি
অভিনেতা আসরানির মৃত্যুর খবর কেন গোপন রাখল পরিবার?
প্রযোজক শাহরিন আক্তার বলেন, “বরবাদ’-এর পর আমরা সিয়ামকে নিয়ে আরেকটি সিনেমার পরিকল্পনা করেছিলাম। তবে সেটি আপাতত স্থগিত করে এখন ‘বিদায়’-এর কাজে মনোযোগ দিচ্ছি। এতে বাপ্পারাজ ও দীঘি কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকছেন।”
শোনা যাচ্ছে, দীঘির বিপরীতে এই সিনেমায় সিয়াম আহমেদও থাকতে পারেন, যদিও বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কিছুদিন আগে বাপ্পারাজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। সেখান থেকে জানা যায়, সিনেমার নাম ‘বিদায়’। এতে অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, হয়তো চলচ্চিত্রকে বিদায় জানাতে যাচ্ছেন বাপ্পারাজ। যদিও এ নিয়ে মুখ খোলেননি এই নায়ক।
গল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে বাপ্পারাজ বলেন, “প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আপাতত কথা বলা নিষেধ আছে। শুটিং শেষ হলে মাসের শেষে বিস্তারিত জানাব।”
জানা গেছে, ‘বিদায়’ সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিদেশযাত্রা, পারিবারিক সম্পর্ক এবং বিচ্ছেদের আবেগঘন প্রেক্ষাপটে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে কারখানার শ্রমিক হত্যায় যুবকের স্বীকারোক্তি
রাজধানীর লালবাগে কারখানার শ্রমিক মো. হোসেনকে (২৪) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মো. আবির নামের এক যুবক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মনোমালিন্যের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বলেন, আসামি আবিরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আসামি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় লালবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. নাজমুজ্জামান জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। পরে আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত সোমবার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আবিরের সঙ্গে নিহত হোসেনের বন্ধু নীরবের কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় হোসেন তাঁর বন্ধুর পক্ষ নিলে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা হলেও আবির তা মেনে নেননি।
এর জেরে মঙ্গলবার বিকেলে হোসেন কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লালবাগের শহিদনগর এলাকায় একটি দোকানের সামনে আবির পেছন থেকে তাঁর পিঠে ছুরি মারেন। খবর পেয়ে স্বজনেরা হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, আবির ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। হোসেন সেখানে ভাড়া থাকতেন এবং একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।