ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর উত্তরাধিকার যেন থেমে নেই। এবার সেই ঐতিহ্যের শিখা হাতে নিচ্ছেন তার বড় ছেলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জুনিয়র। পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-১৬ দলে ডাক পেয়েছেন তিনি। যা ফুটবল বিশ্বে নতুন করে উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে।

পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশনের (এফপিএফ) ঘোষণায় জানা গেছে, ১৫ বছর বয়সী রোনালদো জুনিয়রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তুরস্কে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব–১৬ ফেডারেশন কাপের দলে। টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে ৩০ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত, তুরস্কের আনাতোলিয়ায়।

আরো পড়ুন:

রোনালদোর অষ্টম পেনাল্টি মিস, তবুও শীর্ষে পর্তুগাল

এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল পর্তুগাল

রোনালদো জুনিয়রের জন্য এটাই প্রথম নয় জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানো। গত মে মাসে ক্রোয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ভ্লাতকো মার্কোভিচ টুর্নামেন্টে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে দারুণ আলো ছড়িয়েছিলেন তিনি। ফাইনালে স্বাগতিক ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করে দলকে এনে দেন ৩-২ ব্যবধানের রোমাঞ্চকর জয়। সেই ম্যাচে তিনি খেলেছিলেন বাবার বিখ্যাত ৭ নম্বর জার্সিতে এবং অবস্থানও ছিল রোনালদোর মতো, বাম উইঙ্গার হিসেবে।

ক্লাব ফুটবলেও ছেলের পথ চলছে বাবার ছায়াতেই। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবের আল নাসর একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, যেখানে খেলছেন তার বাবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এর আগে তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও জুভেন্টাসের জুনিয়র টিমেও সময় কাটিয়েছেন। সেখানেও মুগ্ধ করেছেন কোচ ও সতীর্থদের।

রোনালদো সিনিয়রের পথচলা:
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও আজকের তারকায় পরিণত হওয়ার আগেই পেরিয়েছেন পর্তুগালের বয়সভিত্তিক দলের প্রতিটি ধাপ। অনূর্ধ্ব-১৫ দল থেকে শুরু করে তিনি খেলেছেন অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-২০ ও অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ঘটে ২০০৩ সালে। আর তারপরের ইতিহাস তো কিংবদন্তিতুল্যই।

রোনালদোর বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যান:
অনূর্ধ্ব-১৫ দল: ৯ ম্যাচ, ৭ গোল,
অনূর্ধ্ব-১৭ দল: ৭ ম্যাচ, ৫ গোল,
অনূর্ধ্ব-২০ দল: ৫ ম্যাচ, ১ গোল,
অনূর্ধ্ব-২১ দল: ১৩ ম্যাচ, ৫ গোল।

‘রোনালদো’ নামের ভার:
বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের ছেলে হওয়া যেমন গর্বের, তেমনি এক বিশাল চাপও বটে। প্রত্যাশার বোঝা, তুলনার ভয়; সবকিছুই ঘিরে ফেলেছে তরুণ রোনালদো জুনিয়রকে। তবে তিনি জানেন, বাবার ছায়ায় নয়, নিজের আলোয়ই আলাদা করে জায়গা করে নিতে হবে।

এখন দেখার পালা বাবার রেখে যাওয়া উত্তরাধিকারের সিঁড়িতে পা রেখে রোনালদো জুনিয়রও কি একদিন পর্তুগালের গৌরবময় ইতিহাসের অংশ হয়ে উঠবেন?

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ত গ ল পর ত গ ল র অন র ধ ব ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

জেল খাটা কোচের হাত ধরে ১৮ বছর পর বিশ্বকাপ জেতার অপেক্ষায় আর্জেন্টিনা

অনেক সময় ব্যর্থতা যখন চারপাশ থেকে আঁকড়ে ধরে, তখন সবার অপেক্ষা থাকে পথপ্রদর্শকের জন্য—যিনি এসে সব জীর্ণতা ও সংকট থেকে উদ্ধার করবেন। আর্জেন্টিনার বয়সভিত্তিক ফুটবলে তেমনই এক ত্রাতা হয়ে এসেছেন ডিয়েগো প্লাসেন্তে। তাঁর হাত ধরে ১৮ বছর পর আবারও অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব–২০ দল। এখন অপেক্ষা শিরোপা জয়ের।  

একসময় আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স ও বায়ার লেভারকুসেনসহ বিভিন্ন দলে খেলা সাবেক লেফটব্যাক প্লাসেন্তে বর্তমানে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব–২০ দলের কোচ। তাঁর অধীনে আগামী সোমবার অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে মরক্কোর মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশ সময় ভোর পাঁচটায় শুরু হবে এই ম্যাচ।

আর্জেন্টিনার বয়সভিত্তিক দলের হয়ে মাঠে পাওয়া সাফল্যের পাশাপাশি প্লাসেন্তের জীবনে কিছু চমকপ্রদ ঘটনাও আছে।

১৯৯৫ সালে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক প্লাসেন্তের। দারুণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি দ্রুত নজর কাড়েন রিভার প্লেটের এবং দুই মৌসুম পরই যোগ দেন সেখানে।

আরও পড়ুনলাওতারো রিভেরো: ফুটপাতের বিস্কুট বিক্রেতা থেকে আর্জেন্টিনা দলে মেসির সতীর্থ০৫ অক্টোবর ২০২৫

রিভার প্লেটে সফল সময় কাটানোর পর প্লাসেন্তে পাড়ি জমান জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেনে। ইউরোপে পরবর্তী সময়ে তিনি আরও খেলেছেন স্পেনের সেল্তা ভিগো এবং ফ্রান্সের বোর্দোয়। এরপর দেশে ফিরে দক্ষিণ আমেরিকার পরাশক্তি আর্জেন্টিনার সান লরেঞ্জো ও উরুগুয়ের ন্যাসিওনাল দে মন্টেভিদেওর মতো ক্লাবের হয়েও খেলেছেন প্লাসেন্তে।

শুধু ক্লাব পর্যায়েই নয়, আর্জেন্টিনা জাতীয় দলেও একসময় খেলেছেন প্লাসেন্তে। ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ায় অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিততে সাহায্য করেছিলেন, আর মূল জাতীয় দলে খেলেছেন ২০০২ সালের বিশ্বকাপে এবং ২০০৪ কোপা আমেরিকায়। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে ২০০০ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ২২ ম্যাচ খেলেছেন প্লাসেন্তে।

তবে শুধু ফুটবলার পরিচয়ে তাঁকে আটকে রাখার সুযোগ নেই। ফুটবলের পাশাপাশি তাঁর ভালোবাসা ছিল সংগীতে, বিশেষ করে আর্জেন্টাইন রক গান। জীবনের অজানা দিক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্লাসেন্তে একবার বলেছিলেন, তিনি ‘লস রেদোন্দোস’ ব্যান্ডের ভক্ত। এমনকি ব্যান্ডটির কনসার্ট মিস না করতে অদ্ভুত কিছু কাজও করেছিলেন।

১৮ বছর পর শিরোপা জয়ের অপেক্ষায় আর্জেন্টিনা দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রোনালদোর স্বপ্নপূরণের পথে তাঁর ছেলে, ডাক পেলেন পর্তুগালের অনূর্ধ্ব–১৬ দলে
  • জেল খাটা কোচের হাত ধরে ১৮ বছর পর বিশ্বকাপ জেতার অপেক্ষায় আর্জেন্টিনা