পূবালী ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংকের ১৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন
Published: 23rd, September 2025 GMT
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি দুটি ব্যাংকের ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বন্ডের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আজ মঙ্গলবারের কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। যে দুটি ব্যাংকের বন্ড অনুমোদন করা হয়েছে, সেগুলো হলো পূবালী ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংক। এর মধ্যে পূবালী ব্যাংক বন্ড ছেড়ে ৫০০ কোটি টাকা ও যমুনা ব্যাংক বন্ডের মাধ্যমে ৮০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।
বিএসইসি জানিয়েছে, পূবালী ব্যাংকের বন্ডটি অরূপান্তরযোগ্য ভাসমান সুদ হারের বন্ড। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের কাছে এই বন্ড বিক্রি করা হবে। এই বন্ডের প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু ৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ এই বন্ডের একটি ইউনিট কিনতে বিনিয়োগ করতে হবে ৫ লাখ টাকা। বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ ব্যাংকটি তাদের মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে কাজে লাগাবে।
এ ছাড়া যমুনা ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকার বন্ডটিও অরূপান্তরযোগ্য ভাসমান সুদহারের বন্ড। এটিরও প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ টাকা। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের কাছে এই বন্ড বিক্রি করা হবে। দুই ব্যাংকের বন্ডেরই সুদহার হবে বেঞ্চমার্ক সুদের সঙ্গে ৩ শতাংশ কুপন হার যোগ করে। বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ ব্যাংকটি মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে কাজে লাগাবে।
বিএসইসি জানিয়েছে, দুটি বন্ডই মেয়াদ শেষে অবসায়িত হবে। সেই সঙ্গে বন্ড দুটি লেনদেন হবে শেয়ারবাজারের অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বড় অর্থায়নে পুঁজিবাজারের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে বড় বড় অর্থায়নের ক্ষেত্রে আয়কর ও ব্যাংকিং খাতের উপর নির্ভর করলে হবে না। এক্ষেত্রে ক্যাপিটাল মার্কেটের (পুঁজিবাজার) ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে। এখান থেকে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রজেক্ট করা সম্ভব।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যৌথভাবে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
এ সময় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সদস্যসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং মার্কেট সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার উপস্থিত ছিলেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “শেয়ারবাজারের ছোট বিনিয়োগকারীরা মনে করে বিনিয়োগ করলেই মুনাফা নিশ্চিত, এই বাজারে যে ঝুঁকি আছে, তা তারা মানতে চান না।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অনেক খেলাপি হয়েছে। যা বাংলাদেশে ট্রাজেডিতে পরিণত হয়েছে। এছাড়া, বেক্সিমকোর সুকুক বন্ড খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাই আগামীতে সুকুক ইস্যুর ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।”
অন্যান্য দেশে আয়কর বেশি দিলেও জনগণ সেবা পায় বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “আমাদের দেশে মানুষ আয়কর দিয়ে সেবা পায় না। এ কারণে জনগণের মধ্যে গোস্যা আছে। এ সমস্যা থেকে উত্তোরণে এনবিআরকে সেবা দেওয়ার জন্য বলেছি। তাহলে আয়কর বাড়বে।”
ঢাকা/এনটি/ইভা