চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মতলব সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের পরিত্যক্ত বাসার রান্নাঘর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মতলব সরকারি ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে ওই টিনশেড বাসার অবস্থান। আগে ওই বাসায় অধ্যক্ষ থাকতেন। প্রায় ১৫ বছর ধরে সেটি জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বর্তমান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদও ওই বাসায় থাকেন না।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পানির পাম্প বসানোর কাজে এক ব্যক্তি ওই বাসার কাছে যান। তিনি রান্নাঘরের পাশে যেতেই ভেতরে রাখা একটি বস্তা থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পান। এরপর তিনি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অশোক কুমার রায়কে বিষয়টি জানান। অশোক কুমার সেখানে গিয়ে দুর্গন্ধ নিশ্চিত হলে পুলিশকে খবর দেন। পরে মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ গিয়ে বস্তাটি খুলে গলিত লাশ উদ্ধার করে।

খবর পেয়ে চাঁদপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খায়রুল কবিরসহ অন্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। এ ছাড়া সিআইডির একটি দলও তদন্ত শুরু করেছে।

মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহাম্মদ বলেন, উদ্ধার করা লাশটি অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর। লাশ পচাগলা অবস্থায় থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, দুই থেকে তিন মাস আগে তাঁকে হত্যা করে ওই বাসায় ফেলে রাখা হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশের কয়েকটি দল তদন্ত করছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওই ব স

এছাড়াও পড়ুন:

বাবার ইচ্ছা পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন প্রবাসী তরুণ

চাঁদপুরের সৌদিপ্রবাসী মেহেদী হাসানের (২৫) বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বিয়ে করাতে নিয়ে যাবেন। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করলেন তিনি।

আজ শুক্রবার বিকেলে স্বজনদের নিয়ে ভাড়া করা হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে কনের বাড়িতে যান মেহেদী হাসান। বিয়ের পর নববধূকে হেলিকপ্টারে নিয়ে ফিরে আসেন নিজ বাড়িতে। এ ঘটনায় উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী।

মেহেদী হাসান মতলব উত্তর উপজেলার এমএম কান্দি গ্রামের আবদুল বারেক দেওয়ানের ছেলে। মেহেদীর নববধূর নাম আবিদা সুলতানা। তিনি একই উপজেলার রুহিতারপাড় গ্রামের মো. আল আমিনের মেয়ে। আজ শুক্রবার বিকেল চারটায় কনের বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে মেহেদী হাসান সৌদি আরবে যান। বিয়ে করার জন্য কিছুদিন আগে বাড়ি ফেরেন। কনে দেখা ও বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। আজ শুক্রবার রুহিতারপাড় গ্রামের একটি মাঠে বরপক্ষকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি নামলে স্থানীয় লোকজন সেখানে ভিড় করেন। হেলিকপ্টার থেকে নেমে স্বজনদের নিয়ে মেহেদী হাসান হেঁটে কনের বাড়িতে যান। বিয়ের পর নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি তাঁর গ্রামে পৌঁছালে ভিড় করেন এলাকাবাসী।

মেহেদী হাসান বলেন, তাঁর বাবার এই ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে তিনি ও তাঁর পরিবার খুবই আনন্দিত। সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।

মেহেদী হাসানের বাবা আবদুল বারেক দেওয়ান বলেন, ইচ্ছা ছিল ছেলে বড় ও প্রতিষ্ঠিত হলে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে তাকে বিয়ে করাবেন। আজ তাঁর সে ইচ্ছা পূরণ হলো। এতে তিনি খুবই আনন্দিত।

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, ঘটনা জানার পর হেলিপ্যাড এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আন্দোলনে গিয়ে ‘অসুস্থ হয়ে’ মারা যাওয়া শিক্ষকের স্মরণে কালোব্যাজ ধারণ
  • মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ সড়ক যেন মরণফাঁদ
  • শিক্ষক সমাবেশে সাউন্ড গ্রেনেডে আহত শিক্ষকের ঢাকায় মৃত্যু
  • ঢাকায় সমাবেশে আহত সেই শিক্ষিকা মারা গেছেন
  • বাবার ইচ্ছা পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন প্রবাসী তরুণ