ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, পাবেন বছরভর
Published: 4th, October 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে পড়াশোনা করা সব দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য উপবৃত্তি দেওয়া হবে।
জেনে রাখুন
১. উপবৃত্তি পাবেন: দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা,
২. শিক্ষাবর্ষ: ২০২৪-২৫,
৩. উপবৃত্তি মেয়াদ: এক বছর।
উপবৃত্তির তথ্য
সব দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর বেতন মওকুফ করা হবে, স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি মাসে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা হারে এক বছরের জন্য উপবৃত্তি দেওয়া হবে।
১.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করা সব দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির জন্য সংযুক্ত আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
২.
পূরণ করা আবেদন ফরম ২১ অক্টোবরের মধ্যে রেজিস্ট্রার অফিস কক্ষ নম্বর ২০৩-এ জমা দিতে হবে।
৩.
আবেদন ফরমের সঙ্গে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্র ও সর্বশেষ পরীক্ষার নম্বরপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনহাঙ্গেরিতে স্কলারশিপ, পড়াশোনা ইংরেজিতে হলে আইইএলটিএস বা টোয়েফলের প্রয়োজন নেই ৬ ঘণ্টা আগেফরম পাওয়া যাবে— ১. আবেদন ফরম সব হল ও বিভাগ থকে সংগ্রহ করা যাবে।
২. একই শ্রেণিতে একাধিকবার পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় আসবেন না।
*বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট: www.du.ac.bd
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য উপব ত ত র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে নির্বিচার পাখির মতো গুলি করা হয়: মামুনুল হক
ইসলামি জনতাকে বারবার বুলেটের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে নির্বিচার পাখির মতো গুলি করা হয়। ২০২১ সালে মোদিবিরোধী আন্দোলনের কারণে আলেমদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ২০২৪ সালে জুলাই বিপ্লবে এ দেশে আপামর তৌহিদি জনতা, ছাত্রজনতা, কৃষক–শ্রমিক–মজুরদের হত্যা করে বাংলাদেশকে রক্তে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা শাখার আয়োজনে সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুনুল হক এ কথা বলেন।
আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ হবে বলে দাবি করেন মামুনুল হক। তিনি জানান, বিগত সময়ে যারা ক্ষমতার মসনদে ছিল, তারা দেশের প্রতিনিধি নয়; বরং ভিনদেশি কৃতদাসী হিসেবে ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। এ দেশের মানুষের অধিকার আদায় নয়, ভিনদেশিদের স্বার্থ আদায় করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। দেশটাকে উজাড় করে সোনার বাংলাকে শ্মশান বানিয়ে মানুষের রক্ত ও জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে দেশটাকে গুমের রাজত্বে পরিণত করা হয়েছিল। বাংলাদেশটাকে মৃত্যুকূপে পরিণত করা হয়েছিল।
বিগত সরকারের আমলে ইসলামি নেতাদের বছরের পর বছর বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল অভিযোগ করে মামুনুল হক বলেন, জেল–জুলুম–হুলিয়া চালানো হয়েছিল, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো হয়েছিল। কারাগারে বিনা চিকিৎসায় আলেমদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল—১৫টি বছর ছিল আলেম–ওলামা তথা ইসলামপন্থীদের রক্ত দেওয়ার, ত্যাগ ও কোরবানির সময়। সব জুলুম–নির্যাতনের পর চব্বিশের বিপ্লব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চব্বিশের এ বিপ্লবে যারা বুক চিতিয়ে জীবন দিয়েছিল, তাদের সিংহভাগ ছিল আলেমসমাজ। জীবন ও রক্তের বিনিময়ে বিদেশি আধিপত্যমুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করা হয়েছে। নতুন করে আবার বিদেশি পরাজিত শক্তি অন্য কারও মাথার ওপর ভর করে বাংলার মানুষকে যদি জিঞ্জিরাবদ্ধ করতে চায়, তা বরদাশত করা হবে না।
ঐক্যবদ্ধ জনগণ যাদের প্রতিহত করেছে, তারা ভিন্ন রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ করছি, জীবন দিয়ে যেই ফ্যসিবাদ বিতাড়িত করেছি, সেই ফ্যাসিবাদ ভিন্নরূপে বাংলার ক্ষমতার মসনদে আসার পাঁয়তারা করলে আমরা রাজপথে লড়াই করে মোকাবিলা করব। নিজের বক্তব্যে চাঁদাবাজি, লুটপাট, দুর্নীতি বন্ধ ও জুলাই সনদের আইনিভিত্তি বাস্তবায়নে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীকের পাশাপাশি গণভোটে হ্যাঁ ব্যালটে সিল দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানাই।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ আবদুল লতিফের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন, নায়েবে আমির শাহ মুহাম্মদ সাঈদ নূর, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদী, ফুলবাড়িয়া আসনে খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী মুফতি আবদুল কাদের, জামায়াত মনেনানীত প্রার্থী অধ্যক্ষ কামরুল হাসানসহ খেলাফত মজলিসের অন্য নেতারা।
একই দিন বিকেলে ভালুকা সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত সমাবেশেও প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মামুনুল হক।