মনোজ বাজপেয়ী নামটা দেখেই সিনেমাটা দেখা। আবার নেটফ্লিক্সে আছে। তাই পথে, যানজটে, মেট্রোতে, এখানে-সেখানে বসে সহজেই দেখা সম্ভব। চোর-পুলিশের সেই প্রচলিত কাহিনি। তবে সিনেমার শুরুতেই বলা আছে, সত্য ঘটনা অবলম্বনে। সুতরাং সিনেমাটা নিয়ে বাড়তি কিছু বলাই যায়। সিনেমার নাম ‘ইন্সপেক্টর জেনডে’। তিনি মুম্বাই পুলিশের একজন ইন্সপেক্টর, কার্ল ভোজরাজ নামের এক কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারকে ধরার দায়িত্ব পেয়েছেন। এই কার্ল আবার সুইমস্যুট কিলার নামে পরিচিত।

এবার আসল গল্প। ইন্সপেক্টর জেনডের পুরো নাম মাধুকর জেনডে। তবে কার্ল ভোজরাজ আসলে চার্লস শোবরাজ, তিনি কুখ্যাতি পেয়েছিলেন ‘বিকিনি কিলার’ হিসেবে। আর সিনেমাটা খুব সিরিয়াস ভঙ্গিতে বানানো হয়নি; বরং হাস্যরসাত্মক উপাদান আছে অনেক। অর্থাৎ কমেডি জনরার সিনেমা। যাঁরা সিনেমাটি দেখেননি বা শোবরাজ নিয়ে জানেন কম, তাঁদের আগেই সতর্ক করছি—লেখাটির মধ্যে যথেষ্ট স্পয়লার আছে। যদিও চার্লস শোবরাজকে নিয়ে অনেক লেখালেখি ও সিনেমা হয়েছে। সুতরা অনেকেই সবকিছু জানেন। তবে সে তুলনায় ইন্সপেক্টর জেনডে কম আলোচিত। সেই কম আলোচিত অধ্যায় নিয়েই নেটফ্লিক্সের সিনেমা—‘ইন্সপেক্টর জেনডে’।

কে এই চার্লস শোবরাজ

সহজলভ্য ইন্টারনেটের এই যুগে চার্লস শোবরাজকে নিয়ে জানা কঠিন কোনো কাজ নয়। তাঁকে নিয়ে অসংখ্য লেখালেখি হয়েছে। আর বলিউডের সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ায় নতুন করে আবার লেখালেখি শুরুও হয়েছে। যেমন টাইম ম্যাগাজিনে গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত লেখাটির শিরোনাম হচ্ছে, ‘চার্লস শোবরাজ ও নেটফ্লিক্সের ইন্সপেক্টর জেনডের আসল গল্প’। সেখান থেকে কিছু তথ্য উল্লেখ করছি।

‘ইন্সপেক্টর জেনডে’র দৃশ্য। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি নাগরিক কোয়ালিশনের

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক উদ্যোগ নাগরিক কোয়ালিশন।

আজ শনিবার সংগঠনটি এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায়।

ওসমান হাদির ওপর দুর্বৃত্তের গুলির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতিতে নাগরিক কোয়ালিশন বলেছে, এ ঘটনা পরিকল্পিত এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন প্রক্রিয়ার ওপর সরাসরি আঘাত। ওসমান হাদির ওপর আক্রমণ বাংলাদেশের নাগরিক জীবনে ও রাজনীতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত ভয়ংকর ঘটনা। রাজনৈতিক ও সামাজিক পর্যায়ে প্রভাবশালী শীর্ষ নেতাদের ওপর এ ধরনের ‘অ্যাসাসিনেশন’ প্রচেষ্টা রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে যেমন ব্যাহত করে, একই ভাবে দেশের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নাগরিক কোয়ালিশন মনে করে, এই আক্রমণ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ওসমান হাদির মতো আরও অনেক সামনের সারির তরুণ-তরুণী জুলাই যোদ্ধাদের জীবন কী পরিমাণ ঝুঁকিতে আছে! রাষ্ট্র জুলাই যোদ্ধাদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে বলে সংগঠনটি মনে করে না।

এই পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটি সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি কাঠামো তৈরি করে জুলাই আন্দোলনের নেতাদের বিশেষ সুরক্ষা প্রদান করতে রাষ্ট্র জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত এক বছরে শতাধিক রাজনৈতিক কর্মী হত্যার ঘটনা ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অধিকাংশ ক্ষেত্রে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। এতে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে।

নাগরিক কোয়ালিশন আরও বলেছে, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের আইনি ও প্রশাসনিক সংস্কারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এই পরিস্থিতিতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের জাতীয় নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। নাগরিক সমাজ সরকারকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য এবং প্রত্যেক নাগরিককে নিরাপদে ভোট প্রদানের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা সহায়তার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা নিশ্চিত করার আহবান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ রকম মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে জন্য সরকারসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ