বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাস ৯৫ বছরের। এ পর্যন্ত ২২টি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আট দেশ। বিদেশি কোচ নিয়ে কখনো কোনো দেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। ব্রাজিল কোচ হিসেবে কার্লো আনচেলত্তি কি এই দুর্লঙ্ঘ্য ধারা ভাঙতে প্রস্তুত?

শুনুন ইতালিয়ানের মুখেই, ‘সবকিছুরই প্রথমবার আছে।’

গত ছয় দশকের মধ্যে আনচেলত্তি ব্রাজিল জাতীয় দলে প্রথম বিদেশি কোচ। গত মে মাসে কোচের দায়িত্ব নিয়ে ব্রাজিলকে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পাইয়ে দেন। এখন চলছে যুক্তরাস্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী জুন–জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। গত সপ্তাহে সিউলে দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রীতি ম্যাচে ৫–০ গোলে হারিয়ে প্রস্তুতির শুরুও ভালোই করেছেন আনচেলত্তি। টোকিওতে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে জাপানের বিপক্ষে এ মাসে শেষ প্রীতি ম্যাচটি খেলবে ব্রাজিল।

টোকিওতে সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি জানিয়েছেন, ব্রাজিল দল নিয়ে বিশ্বকাপে তিনি ইতিহাস গড়তে চান। সেটা যে বিশ্বকাপ ট্রফিটি হাতে তুলে নিয়ে, তা না বললেও চলে। শুনুন আনচেলত্তির মুখেই, ‘আমার লক্ষ্য হলো ব্রাজিল জাতীয় দলে নিজের সেরাটা দেওয়া, (খেলোয়াড়দের কাছ থেকে) সেরাটা বের করে এনে বিশ্বকাপ জেতানো। হ্যাঁ, বিদেশি কোনো কোচ এখনো বিশ্বকাপ জিততে পারেননি। কিন্তু জীবনে সবকিছুরই প্রথমবার আছে।’

ব্রাজিলের অনুশীলনে আনচেলত্তি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু 

দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। 

রবিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঢাকার আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। মাসব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এর আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে একটি ডোজ ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।

আরো পড়ুন:

শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি গুজব

দুই দিন পিছিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর ১৭ অক্টোবর

জন্মসনদ না থাকলেও শিশুরা এই টিকা পাবে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে টিকাটি, যা সরকার পেয়েছে আন্তর্জাতিক টিকাবিষয়ক সংস্থা গ্যাভির সহায়তায়।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত এবং নিরাপদ। নেপাল, পাকিস্তানসহ আরো আটটি দেশে এই টিকা ব্যবহৃত হয়েছে এবং কোথাও বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্যাম্পেইনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এক ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী বাকি শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়া হবে। শহরের পথশিশুদের টিকাদানে সহায়তা করবে বিভিন্ন এনজিও।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে প্রায় ১ কোটি ৬৮ লাখ শিশু নিবন্ধন করেছে। নিবন্ধন চলমান রয়েছে। যেসব শিশুর জন্মসনদ নেই, তাদেরও টিকার জন্য নিবন্ধন করা যাবে। এর জন্য নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অভিভাবকরা https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে গিয়ে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। ১ আগস্ট থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে এবং নিবন্ধনের পর জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করা যাবে।

ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, “১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনের প্রথম ১০ দিন দেশের স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে ক্যাম্প করে এবং পরবর্তী ৮ দিন ইপিআই সেন্টারে এই টিকা দেওয়া হবে।”

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এমএলএস যেন মেসির রাজত্ব
  • শূন্য সুখের শহর
  • কাঁদতে কাঁদতে রেললাইনে বসেন তরুণ, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু
  • দেশব্যাপী টাইফয়েডের টিকাদান শুরু
  • দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু 
  • আলহামদুলিল্লাহ, আমার জীবনের সেরা দিন: ফারহান