সিদ্ধিরগঞ্জে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ
Published: 26th, November 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে তাকবির হোসেন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার বউবাজার ওয়াদা কলোনি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তাকবির হোসেন ওই এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে।
আরো পড়ুন:
পাবনায় রাস্তায় পড়ে থাকা ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার রাতে তাকবির বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। বুধবার সকালে তার মোবাইলে ব্যবহৃত নম্বরে কল করলেও রিসিভ করেনি। পরে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে তাদের কাছে ফোন আসে। এ সময় তাকবির হোসেনকে মুক্তিতে ৪০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিত্যক্ত ভবনে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পান। পরে গিয়ে দেখেন, সেটি তাকবিরের।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিপণ না পেয়ে তাকবিরকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার দুই ব্যাংক লকার থেকে ৯ কেজি ৭০৭ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার
দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী পুনঃযাচাইয়ের অংশ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের নামে থাকা দুটি ব্যাংকের তিনটি লকার খুলে ৯ কেজি ৭০৭ গ্রাম (৮৩২ ভরি) স্বর্ণ উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুদক প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
আরো পড়ুন:
হাসিনাকে ফেরাতে আগের চিঠির উত্তর পাইনি, এবার পাব: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা, রেহানা, টিউলিপসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে রায় ১ ডিসেম্বর
দুদক জানায়, দুদকের উপ-পরিচালক (বিশেষ অনু. ও তদন্ত-১) মো. মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত অনুসন্ধান দল ২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে লকার খোলার অনুমতির আবেদন করেন। আদালত একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বাংলাদেশ ব্যাংকের বুলিয়ন শাখার একজন স্বর্ণ বিশেষজ্ঞ, এনবিআরের একজন কর গোয়েন্দা ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইসি) মনোনীত দুই কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লকার খোলার নির্দেশ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) পূবালী ব্যাংক পিএলসির মতিঝিল কর্পোরেট শাখা ও অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির প্রিন্সিপাল শাখায় থাকা মোট তিনটি লকার খোলা হয়। এর মধ্যে পূবালী ব্যাংকের লকার নম্বর ১২৮-গ্রাহক শেখ হাসিনার নামে- থেকে একটি খালি ছোট পাটের ব্যাগ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে, গ্রাহক শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে থাকা অগ্রণী ব্যাংকের লকার (নম্বর ৭৫১/বড়/১৯৬) থেকে আনুমানিক ৪ হাজার ৯২৩ দশমিক ৬০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। একই ব্যাংকের গ্রাহক শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সিদ্দিকীর নামে থাকা লকার (নম্বর ৭৫৩/বড়/২০০) থেকে পাওয়া যায় ৪ হাজার ৭৮৩ দশমিক ৫৬ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার।
দুদক জানায়, উদ্ধারকৃত স্বর্ণালঙ্কারসমূহ লকারে সংরক্ষিত বর্ণনা ও লিখিত চিরকুট অনুযায়ী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের— শেখ রেহানা সিদ্দিকী, সাইমা ওয়াজেদ পুতুল, সজীব ওয়াজেদ জয় ও ববি-হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিক ইনভেন্টরি তালিকা প্রস্তুতের পর সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যবস্থাপকদের জিম্মায় মালামাল হস্তান্তর করা হয়েছে।
দুদক বলেছে, ইনভেন্টরি তালিকা পর্যালোচনা, মালিকানা সুনির্দিষ্টকরণ ও স্বর্ণকারের মাধ্যমে স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণ শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মালিকানা ও আইনগত দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করা হবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ