রাজধানীতে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে ঘিরে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও লাঠিপেটার প্রতিবাদে ফেনীতে মহাসড়ক অবরোধ হয়েছে। আজ বেলা পৌনে তিনটায় জেলার মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণ অংশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই কর্মসূচি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁরা অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান। পরে পুলিশের অনুরোধে বেলা ৩টা ২০ মিনিটে তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান। এ অবরোধের ফলে মহাসড়কের উভয় লেনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা পৌনে তিনটার দিকে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা একটি মিছিল নিয়ে এসে জড়ো হয়ে অবরোধ শুরু করেন। পরে তাঁরা আওয়ামী লীগ ও অন্তর্বর্তী সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেন। অবরোধে অংশ নেওয়া কয়েকজন সড়কে শুয়ে ঢাকায় পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনার প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।

জানতে চাইলে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ওমর ফারুক নামের একজন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধাদের রক্তের ওপর দিয়ে এই অন্তর্বর্তী সরকার চেয়ারে বসেছে। এরপরও আমাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি মেলেনি। আইনি স্বীকৃতি ছাড়া জুলাই জাতীয় সনদ হলে পরবর্তী সরকার এটি বাতিল করতে পারে। তখন আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় পড়ব। এ কারণে বাধ্য হয়ে সড়কে নেমেছি।’

নাজিম উদ্দীন নামে আন্দোলনকারীদের আরেকজন বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে অনৈতিক আচরণ করছে। হাজারো ভাইয়ের আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি না দিয়ে গুটিকয় রাজনৈতিক দলকে খুশি করতে ব্যস্ত সময় পার করছে।’

জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাস প্রথম আলোকে বলেন, অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গেছে। পরে অবরোধকারীদের বুঝিয়ে তাঁদের সড়ক থেকে সরানো হয়েছে। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বৃদ্ধাকে খুন করে ডাকাতি: গ্রেপ্তার ৪, টাকা উদ্ধার

বগুড়ায় বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধাকে খুন করে নগদ টাকাসহ মালামাল লুটের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঘটনা জানার পর থেকে বগুড়ার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া কিছু টাকা এবং দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটায় বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়ায় বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধা বিমলা পোদ্দারকে (৬৫) খুন করে নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতেরা।

আরো পড়ুন:

বরিশালে স্পিডবোটে এসে ৮ দোকানে ডাকাতি

সাভারে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে বলেন, ‘‘ঘটনার পর বগুড়া জেলা ডিবি পুলিশের টিম দ্রুত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার হোতা জুয়েল, সহযোগী আসলাম, ইমরান ও রাজুকে গ্রেপ্তার করে।’’ 

তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে লুট হওয়া টাকার মধ্যে ১৩ হাজার টাকা, নিহত বিমলার মোবাইল ফোনসহ দুটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। 

বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

গ্রেপ্তার জুয়েল (২৬) দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া নওদাপাড়া এলাকার নবাব আলীর ছেলে, বাহালুল প্রামাণিক রাজু (২৯) শিবগঞ্জ উপজেলার খেউনী বিন্ন্যাচাপড় এলাকার বাছেদ প্রামাণিকের ছেলে, ইমরান (৩১) কাহালু উপজেলার পোগইল এলাকার নাছির উদ্দীনের ছেলে এবং আসলাম (২৫) দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া শাবলা এলাকার হাফিজার রহমানের ছেলে। 

আসামি বাহালুল প্রামাণিক রাজুর বিরুদ্ধে ডাকাতি, চুরি, দস্যুতাসহ চারটি মামলা রয়েছে। ইমরানের বিরুদ্ধে মাদক আইনে দুটি মামলা, আসলামের বিরুদ্ধে চুরির একটি মামলা ও জুয়েলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চুরি ও দস্যুতাসহ ছয়টি মামলা বিচারাধীন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আরো পড়ুন: বগুড়ায় নারীকে হত্যা করে ডাকাতি

ডাকাতির পর বাড়ির মালিক ও নিহতের ভাই হেমচাঁদ পোদ্দার হিমু বলেন, ‘‘আমরা দুই ভাই ও তিন বোন এই বাড়িতে বসবাস করি। রাত আড়াইটার দিকে পাঁচ থেকে সাতজনের ডাকাত দল মুখোশ পরে বাড়ির পেছন দিক থেকে প্রবেশ ঘরের দরজায় ধাক্কা দেয়। দরজা খুললে ডাকাতরা আমাকে, আমার ভাই ও বোনদের মারধর করে আহত করে। এ সময় আমার বোন বিমলা চিৎকার করলে ডাকাতরা তাকে খুন করে। চাবি ছিনিয়ে নিয়ে ডাকাতেরা সিন্দুক খুলে ও ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।’’ 

ঢাকা/এনাম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ