নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাঙ্গা মটকপুর ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে জহুরা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত জহুরা বেগম ওই এলাকার রহিদুল ইসলামের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ৩টার দিকে তাকে হত্যা করা হয়।

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় নারীকে হত্যা করে ডাকাতি

মোবাইল চার্জ দেওয়া নিয়ে বিরোধে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম হত্যার তথ্য জানিয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘‘গভীর রাতে ঘর থেকে চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে জহুরা বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।’’

খবর পেয়ে ডোমার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

ঢাকা/সিথুন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ন হত উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বৃদ্ধাকে খুন করে ডাকাতি: গ্রেপ্তার ৪, টাকা উদ্ধার

বগুড়ায় বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধাকে খুন করে নগদ টাকাসহ মালামাল লুটের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঘটনা জানার পর থেকে বগুড়ার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া কিছু টাকা এবং দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটায় বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়ায় বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধা বিমলা পোদ্দারকে (৬৫) খুন করে নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতেরা।

আরো পড়ুন:

বরিশালে স্পিডবোটে এসে ৮ দোকানে ডাকাতি

সাভারে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে বলেন, ‘‘ঘটনার পর বগুড়া জেলা ডিবি পুলিশের টিম দ্রুত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার হোতা জুয়েল, সহযোগী আসলাম, ইমরান ও রাজুকে গ্রেপ্তার করে।’’ 

তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে লুট হওয়া টাকার মধ্যে ১৩ হাজার টাকা, নিহত বিমলার মোবাইল ফোনসহ দুটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। 

বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

গ্রেপ্তার জুয়েল (২৬) দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া নওদাপাড়া এলাকার নবাব আলীর ছেলে, বাহালুল প্রামাণিক রাজু (২৯) শিবগঞ্জ উপজেলার খেউনী বিন্ন্যাচাপড় এলাকার বাছেদ প্রামাণিকের ছেলে, ইমরান (৩১) কাহালু উপজেলার পোগইল এলাকার নাছির উদ্দীনের ছেলে এবং আসলাম (২৫) দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া শাবলা এলাকার হাফিজার রহমানের ছেলে। 

আসামি বাহালুল প্রামাণিক রাজুর বিরুদ্ধে ডাকাতি, চুরি, দস্যুতাসহ চারটি মামলা রয়েছে। ইমরানের বিরুদ্ধে মাদক আইনে দুটি মামলা, আসলামের বিরুদ্ধে চুরির একটি মামলা ও জুয়েলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চুরি ও দস্যুতাসহ ছয়টি মামলা বিচারাধীন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আরো পড়ুন: বগুড়ায় নারীকে হত্যা করে ডাকাতি

ডাকাতির পর বাড়ির মালিক ও নিহতের ভাই হেমচাঁদ পোদ্দার হিমু বলেন, ‘‘আমরা দুই ভাই ও তিন বোন এই বাড়িতে বসবাস করি। রাত আড়াইটার দিকে পাঁচ থেকে সাতজনের ডাকাত দল মুখোশ পরে বাড়ির পেছন দিক থেকে প্রবেশ ঘরের দরজায় ধাক্কা দেয়। দরজা খুললে ডাকাতরা আমাকে, আমার ভাই ও বোনদের মারধর করে আহত করে। এ সময় আমার বোন বিমলা চিৎকার করলে ডাকাতরা তাকে খুন করে। চাবি ছিনিয়ে নিয়ে ডাকাতেরা সিন্দুক খুলে ও ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।’’ 

ঢাকা/এনাম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ