নীলফামারীতে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 17th, October 2025 GMT
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাঙ্গা মটকপুর ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে জহুরা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত জহুরা বেগম ওই এলাকার রহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ৩টার দিকে তাকে হত্যা করা হয়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় নারীকে হত্যা করে ডাকাতি
মোবাইল চার্জ দেওয়া নিয়ে বিরোধে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম হত্যার তথ্য জানিয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘‘গভীর রাতে ঘর থেকে চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে জহুরা বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।’’
খবর পেয়ে ডোমার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
ঢাকা/সিথুন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ন হত উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আকাশ ওরফে আমিনুর রহমান নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীরা গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
নিহত আমিনুর রহমানের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামে। তাঁর ভাই আসলাম সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই আসলাম বলেন, ২০০৯ সালে আমিনুর দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। সেখানে ব্যবসা শুরু করেন। মাঝেমধ্যে তিনি দেশে আসতেন। গতকাল তাঁর ভাই দক্ষিণ আফ্রিকার মেছিনা শহরের কাছে মাটিম্বোতে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছিলেন। সন্ধ্যায় হঠাৎ কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে তাঁর মাথায় গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আমিনুর প্রাণ হারান।
নিহত আমিনুরের ভাই আসলাম আরও বলেন, গতকাল রাত সোয়া ১১টায় তাঁরা মৃত্যুসংবাদ পান। পরিবারের মধ্যে অসুস্থ মা, দুই ভাই, দুই বোন ছাড়াও আমিনুরের স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে।
নিহত ব্যক্তির ভাইয়ের অভিযোগ, উপজেলার আজগানা গ্রামের মোল্লাবাড়ি এলাকার আছমান মোল্লার ছেলে জাফর মোল্লা দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার সময় আমিনুরের ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন। তিনি আমিনুরকে কিছু না বলে প্রায় এক কোটি টাকা নিয়ে হঠাৎ উধাও হন। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মির্জাপুর থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। পাওনা টাকার জন্য বিভিন্ন সময় আমিনুরের পরিবারের পক্ষ থেকে জাফরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হতো। কিন্তু টাকা দেওয়ার বদলে উল্টো বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হতো। নিহত ব্যবসায়ীর হত্যার সঙ্গে বিষয়টির যোগ থাকতে পারে।
তবে এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে জাফর মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।