পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের একটি অঞ্চল দ্রুত দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে পৃথিবী চৌম্বকক্ষেত্রের আকার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, দক্ষিণ আটলান্টিকের ওপরে থাকা দুর্বল চৌম্বকক্ষেত্রের স্থানটির আকার ২০১৪ সাল থেকে ক্রমাগত বাড়ছে, যা বর্তমানে ইউরোপের প্রায় অর্ধেক আয়তনের সমান অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত রয়েছে।

২০১৩ সালে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা সোয়ার্ম মিশন চালু করে। এই মিশনে তিনটি স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ একই কক্ষপথে কাজ করছে। শক্তি ও দিক পরিমাপ করে সোয়ার্ম পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের তথ্য ধারাবাহিকভাবে সংগ্রহ করছে। সোয়ার্মের স্যাটেলাইটে ধারণ করা তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দক্ষিণ আটলান্টিক অ্যানোমালি বা এসএএ নামের একটি বিস্তৃত অঞ্চলে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র অস্বাভাবিকভাবে দুর্বল। এই এলাকার মধ্য দিয়ে যাওয়া মহাকাশযান উচ্চ মাত্রার বিকিরণের সংস্পর্শে আসে। এতে মহাকাশযানের ত্রুটি, যন্ত্রের ক্ষতি হওয়াসহ অস্থায়ী ব্ল্যাকআউটের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

ডেনমার্কের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ক্রিস ফিনলে জানিয়েছেন, দক্ষিণ আটলান্টিক অ্যানোমালি কেবল একটি একক ব্লক নয়, এটি দক্ষিণ আমেরিকার কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে আফ্রিকার দিকেও পরিবর্তিত হচ্ছে। এই অঞ্চলে এমন কিছু ঘটছে, যা চৌম্বকক্ষেত্রকে আরও দুর্বল করে দিচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে আফ্রিকার দক্ষিণ-পশ্চিম আটলান্টিকের একটি অংশে শক্তি দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। সাধারণত দক্ষিণ গোলার্ধের কোর থেকে চৌম্বকক্ষেত্রের রেখা বেরিয়ে আসে। তবে দক্ষিণ আটলান্টিক অ্যানোমালির নিচে একটি অঞ্চল রয়েছে, যেখানে অপ্রত্যাশিতভাবে চৌম্বকক্ষেত্র কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার পরিবর্তে কেন্দ্রে ফিরে যায়।

গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সাইবেরিয়ার ওপর পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র শক্তিশালী হলেও কানাডার ওপর বেশ দুর্বল। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ক্রিস ফিনলে জানান, যখন আপনি পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র বোঝার চেষ্টা করছেন, তখন মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, এটি একটি দণ্ড চুম্বকের মতো।

সূত্র: আর্থ ডটকম

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প থ ব র চ ম বকক ষ ত র চ ম বকক ষ ত র র দ র বল

এছাড়াও পড়ুন:

আগারগাঁওয়ে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ

ঢাকার আগারগাঁওয়ে একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ছয় জন দগ্ধ হয়েছেন।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। 

আরো পড়ুন:

টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের দ্রুত কাজে ফেরার আহ্বান 

রাজশাহীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কর্মবিরতি

দগ্ধরা হলেন—মোহাম্মদ জলিল মিয়া (৫০), আনেজা বেগম (৪০), আসিফ মিয়া (১৯), সাকিব মিয়া (১৬), ইভা (৬) ও মনিরা (১৭)।

তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা মেয়ে জামাই আফরান মিয়া বলেন, “আমার শ্বশুর জলিল মিয়া আগারগাঁওয়ের পাকা মার্কেট ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাম পাশের একটি বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আকস্মিক গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আমার শ্বশুরের পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়। পরে আমরা খবর পেয়ে সকাল পৌনে ৮টার দিকে তাদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসি।”

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, “আজ সকালে আগারগাঁও এলাকা থেকে নারী ও শিশুসহ ছয়জনকে দগ্ধ অবস্থায় ঢামেকের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের ড্রেসিং চলছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।”

ঢাকা/বুলবুল/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ