Prothomalo:
2025-11-21@03:42:42 GMT

শৈশবের দানে রণতরি দেখা

Published: 21st, November 2025 GMT

শৈশবে দেখা স্বপ্ন যদি সত্যি হয়, আর কয়েক দশক পর সে স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখার সুযোগ মেলে, তবে যে কেউ আনন্দে ভেসে যাবেন। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে চীনের চেন ইউওয়েনের সঙ্গে। সময়টা ১৯৯৯ সাল। সে সময় চীনের নিজের কোনো বিমানবাহী রণতরি ছিল না।

চীন সরকার নিজেদের সামরিক বাহিনীতে একটি বিমানবাহী রণতরি যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছিল। এ জন্য চাই প্রচুর অর্থ। সে অর্থ জোগাড় করতে সরকার জনগণের সহায়তা চায়। সরকারের এই পরিকল্পনা দারুণ পছন্দ হয় ছোট্ট চেনের, বয়স তাঁর তখন মাত্র ৫।

চেন সরকারি তহবিলে ১৪০ ইউয়ান দান করেন। ছোট্ট এই বালকের বিশ্বাস ছিল, একদিন তাঁর দেশ বিশ্বের শক্তিশালী দেশ হবে। তারপর কয়েক দশক কেটে গেছে, চেনের বয়স ৩০ বছর পেরিয়েছে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এর খবরে বলা হয়, ১০ নভেম্বর চেন অপ্রত্যাশিতভাবে চায়না স্টেট শিপবিল্ডিং করপোরেশনের কাছ থেকে একটি আমন্ত্রণপত্র পান। ওই আমন্ত্রণপত্রে চেনকে একটি রণতরি ঘুরে দেখার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সঙ্গে স্মারক উপহার হিসেবে ছিল জাহাজের একটি ঘড়ি।

চীনের গুয়াংসি প্রদেশের বাসিন্দা চেনের ছোটবেলা থেকেই সামরিক নানা বিষয়ে কৌতূহল ছিল। তাঁর বাবা সেনাসদস্য ছিলেন। এ কারণে অল্প বয়স থেকেই সামরিক নানা বিষয়ে তাঁর আগ্রহ জন্মে।

পাঁচ বছর বয়সে চেন তাঁর বাবা এবং বাবার সহকর্মীদের কাছে চীনের প্রথম বিমানবাহী রণতরির জন্য অর্থ দানের বিষয়টি জানতে পারেন। সে সময় চীনের কোনো বিমানবাহী রণতরি ছিল না। তদুপরি সাবেক যুগোস্লাভিয়ায় চীনের দূতাবাসে ন্যাটোর বিমান হামলা নিয়ে দেশ তখন উত্তাল। ওই হামলায় তিন চীনা সাংবাদিক নিহত হন।

চেনের বিশ্বাস ছিল, যদি চীনের নিজের বিমানবাহী রণতরি থাকত, তবে এমন হামলা হতোই না। এ ভাবনা থেকেই চেন উদ্যোগী হয়ে ১৪০ ইউয়ান সংগ্রহ করেন এবং বাবার সহায়তায় পিএলএ জেনারেল আর্মামেন্টস ডিপার্টমেন্টে পাঠিয়ে দেন। ওই সময়ের বিচারে চেনের পাঠানো অর্থ মোটেও কম ছিল না। কারণ, ১৯৯৯ সালে শহুরে চীনাদের মাসিক গড় আয় ছিল ৪৯০ ইউয়ানের মতো।

কয়েক মাস পর চেন একটি উত্তর পান। সরকার থেকে তাঁর দান ফেরত পাঠানো হয়েছিল, সঙ্গে ছিল একটি শুভেচ্ছা কার্ড।

২০১২ সালে চীন নিজেদের সামরিক বাহিনীতে প্রথম বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করে। সেটি ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি। চীন সেটিকে উন্নত করে নেয়। ২০১৯ সালে চীন প্রথম নিজেদের সেনাবহরে সম্পূর্ণরূপে দেশে তৈরি বিমানবাহী রণতরি ‘শানডং’ মোতায়েন করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ম নব হ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

শৈশবের দানে রণতরি দেখা

শৈশবে দেখা স্বপ্ন যদি সত্যি হয়, আর কয়েক দশক পর সে স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখার সুযোগ মেলে, তবে যে কেউ আনন্দে ভেসে যাবেন। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে চীনের চেন ইউওয়েনের সঙ্গে। সময়টা ১৯৯৯ সাল। সে সময় চীনের নিজের কোনো বিমানবাহী রণতরি ছিল না।

চীন সরকার নিজেদের সামরিক বাহিনীতে একটি বিমানবাহী রণতরি যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছিল। এ জন্য চাই প্রচুর অর্থ। সে অর্থ জোগাড় করতে সরকার জনগণের সহায়তা চায়। সরকারের এই পরিকল্পনা দারুণ পছন্দ হয় ছোট্ট চেনের, বয়স তাঁর তখন মাত্র ৫।

চেন সরকারি তহবিলে ১৪০ ইউয়ান দান করেন। ছোট্ট এই বালকের বিশ্বাস ছিল, একদিন তাঁর দেশ বিশ্বের শক্তিশালী দেশ হবে। তারপর কয়েক দশক কেটে গেছে, চেনের বয়স ৩০ বছর পেরিয়েছে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এর খবরে বলা হয়, ১০ নভেম্বর চেন অপ্রত্যাশিতভাবে চায়না স্টেট শিপবিল্ডিং করপোরেশনের কাছ থেকে একটি আমন্ত্রণপত্র পান। ওই আমন্ত্রণপত্রে চেনকে একটি রণতরি ঘুরে দেখার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সঙ্গে স্মারক উপহার হিসেবে ছিল জাহাজের একটি ঘড়ি।

চীনের গুয়াংসি প্রদেশের বাসিন্দা চেনের ছোটবেলা থেকেই সামরিক নানা বিষয়ে কৌতূহল ছিল। তাঁর বাবা সেনাসদস্য ছিলেন। এ কারণে অল্প বয়স থেকেই সামরিক নানা বিষয়ে তাঁর আগ্রহ জন্মে।

পাঁচ বছর বয়সে চেন তাঁর বাবা এবং বাবার সহকর্মীদের কাছে চীনের প্রথম বিমানবাহী রণতরির জন্য অর্থ দানের বিষয়টি জানতে পারেন। সে সময় চীনের কোনো বিমানবাহী রণতরি ছিল না। তদুপরি সাবেক যুগোস্লাভিয়ায় চীনের দূতাবাসে ন্যাটোর বিমান হামলা নিয়ে দেশ তখন উত্তাল। ওই হামলায় তিন চীনা সাংবাদিক নিহত হন।

চেনের বিশ্বাস ছিল, যদি চীনের নিজের বিমানবাহী রণতরি থাকত, তবে এমন হামলা হতোই না। এ ভাবনা থেকেই চেন উদ্যোগী হয়ে ১৪০ ইউয়ান সংগ্রহ করেন এবং বাবার সহায়তায় পিএলএ জেনারেল আর্মামেন্টস ডিপার্টমেন্টে পাঠিয়ে দেন। ওই সময়ের বিচারে চেনের পাঠানো অর্থ মোটেও কম ছিল না। কারণ, ১৯৯৯ সালে শহুরে চীনাদের মাসিক গড় আয় ছিল ৪৯০ ইউয়ানের মতো।

কয়েক মাস পর চেন একটি উত্তর পান। সরকার থেকে তাঁর দান ফেরত পাঠানো হয়েছিল, সঙ্গে ছিল একটি শুভেচ্ছা কার্ড।

২০১২ সালে চীন নিজেদের সামরিক বাহিনীতে প্রথম বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করে। সেটি ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি। চীন সেটিকে উন্নত করে নেয়। ২০১৯ সালে চীন প্রথম নিজেদের সেনাবহরে সম্পূর্ণরূপে দেশে তৈরি বিমানবাহী রণতরি ‘শানডং’ মোতায়েন করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ