অপহৃত স্কুল ছাত্রী উদ্ধার, অপহরণকারী গ্রেপ্তার
Published: 21st, November 2025 GMT
র্যাবের অভিযানে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্ত অপহরণকারী মো. জাকারিয়া আহমদ গ্রেপ্তার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে অপহৃত স্কুল ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।
এর আগে সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর রেলক্রসিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে বাহুবল থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামি অপহরণের মূলহোতা মো.
মামলার বরাত দিয়ে র্যাব জানায়- অপহৃত বাহুবল থানার বাসিন্দা ও দশম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে অশালীন কথাবার্তা বলে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল জাকারিয়া। এক সময় প্রেমের প্রস্তাব দেয় সে। তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে সে ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পরিকল্পনা করে।
২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্কুল শেষে বাড়িতে যাওয়ার জন্য পায়ে হেঁটে সিএনজি স্টেশনে যাওয়ার পথে বাহুবলের হামিদনগর রাস্তার মুখে পৌঁছালে আগে থেকে প্রস্তুত হয়ে থাকা জাকারিয়া ও তার দলবল ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে সিএনজিতে উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
পরে স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাহুবল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে অপহৃত স্কুলছাত্রীকেও উদ্ধার করে।
ঢাকা/মামুন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব হ বল থ ন উদ ধ র অপহ ত
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিককে ডিবি তুলে নেওয়ার সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযোগের বিষয়টি ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দাপুলিশের একটি দল ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় বলে খবর পাওয়া যায়। তবে এর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে জড়িয়ে একটি ভিত্তিহীন প্রচারণা চালানো হয়েছে; যা সকালে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেখানে এনইআইআর বাস্তবায়নের সঙ্গে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে জড়িয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে সত্যের অপলাপ করা হয়েছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থেই আমরা এনইআইআর বাস্তবায়ন করছি। অবৈধ হ্যান্ডসেটের লাগাম টানতে সংক্ষুব্ধ পক্ষের সঙ্গে বিটিআরসি বৈঠকও করেছে। এতো কিছুর পরও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো অনলাইন নিউজ পোর্টাল আমার ওপর দায় চাপিয়েছে। তাদের উদ্দেশেই আমার বক্তব্য- এটা অনভিপ্রেত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ করে। এখানে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকার অবকাশই নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক বা তার পরিবারের পক্ষ থেকেও আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। অথচ একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিককে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরো বলেন, “সাংবিদক মিজানুর রহামানের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত বা পেশাগত কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তারপরও এমন ‘প্রোপাগাণ্ডা’ মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতাকেই ভুলুণ্ঠিত করছে। আমরা মনে করি, এ ধরনের অসত্য তথ্য প্রচার জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তাই আশা করি, এরপর আর কেউ এ ধরনের লেখায় বিভ্রান্ত হবেন না।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা