জুলাই সনদ স্বাক্ষরকারীরাও সেই কলম পেতে পারেন
Published: 19th, October 2025 GMT
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, যে কলম দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে, সেটি স্মৃতি হিসেবে অনেকেই রাখতে চেয়েছেন। তাঁরা আশা করছেন, কিছু কলম জাতীয় জাদুঘরে থাকবে। আর যাঁরা দলের পক্ষ থেকে সনদে স্বাক্ষর করেছেন, তাঁরা যদি এই ঐতিহাসিক কলম তাঁদের কাছে রাখতে চান—তাঁদের স্মৃতি হিসেবে, দলের স্মৃতি হিসেবে—সেটাও কমিশন বিবেচনা করেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা কলম জাদুঘরে রাখা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নে আলী রীয়াজ এ কথা বলেন। আজ রোববার দুপুরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে জুলাই সনদে গণফোরামের স্বাক্ষর শেষে এ কথা বলেন আলী রীয়াজ।
আরও পড়ুনজুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম, অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের ১ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, এটি এক ঐতিহাসিক কলম। সবাই যেন দেখতে পান যে এর মধ্য দিয়ে একটা ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দলিলে স্বাক্ষর হয়েছে। এটা যেন সবার স্মরণে থাকে, বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন কমিশন।
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার জন্য গণফোরামকে ধন্যবাদ জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি। গণফোরামের পক্ষে সনদে স্বাক্ষর করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো.
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনজুলাই জাতীয় সনদে ২৪ দলের সই১৭ অক্টোবর ২০২৫গত শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। এতে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল-জোট সই করে। গণফোরাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও সই করেনি সনদে।
এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা তরুণদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অনুষ্ঠানে যায়নি, সনদে সইও করেনি। চারটি বাম দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ জুলাই সনদে সই করেনি।
আরও পড়ুনজুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যায়নি এনসিপি, রাজি করাতে সরকারের চেষ্টা অব্যাহত১৮ অক্টোবর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ত য় ঐকমত য গণফ র ম র জ ল ই সনদ অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে এবারও নির্বাচনী মাঠে অর্ধশতাধিক প্রবাসী, অধিকাংশই ‘জনবিচ্ছিন্ন’
সিলেটে সব ধরনের নির্বাচনেই প্রবাসী প্রার্থীদের ছড়াছড়ি থাকে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কয়েক মাস ধরে প্রবাসী প্রার্থীদের তৎপরতা বেড়েছে। বিভাগের চারটি জেলায় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার–প্রচারণা চালাচ্ছেন অর্ধশতাধিক প্রবাসী। তবে তাঁদের বেশির ভাগই ‘জনবিচ্ছিন্ন’ বলে ভোটাররা জানিয়েছেন।
প্রবাসী–অধ্যুষিত সিলেট বিভাগে ভোট এলেই অনেক প্রবাসী দেশে ফিরে প্রার্থিতার বিষয়টি জানান দেন। বিগত সময়ে সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন অনেক প্রবাসী। এবারও কেউ কেউ বিএনপির মনোনয়ন পাবেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া কয়েকটি আসনে প্রবাসীদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে দুটি ইসলামি দল। তবে এলাকার সঙ্গে ‘সম্পর্কহীন’ প্রবাসীদের দলীয় মনোনয়নে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় স্থানীয় রাজনীতিকদের মধ্যে ক্ষোভও আছে।
স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক প্রবাসী নিজেদের এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁরা এলাকাবাসীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন এবং নিয়মিত দেশেও আসেন। এমন প্রার্থীদের ভোটের মাঠে গুরুত্ব আছে। তবে এলাকার সঙ্গে যোগাযোগহীন থাকলেও অনেকে নির্বাচনের সময় টাকার জোরে সমর্থক তৈরি করে ফেলেন। তাঁরা দলীয় মনোনয়ন পেলে ভোটারদের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক শাহ সাহেদা আখতার প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় নির্বাচন কিংবা সংসদ নির্বাচন সবখানেই প্রবাসীরা অনেকটা উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো প্রার্থী হন। হাতে গোনা কয়েকজন প্রবাসী ছাড়া অধিকাংশই জনবিচ্ছিন্ন। শুধু টাকার জোরে তাঁরা আলোচনায় আসেন। এলাকার সঙ্গে সম্পর্কহীন প্রার্থীদের সব দলেরই বর্জন করা উচিত।
যেসব প্রবাসী প্রার্থী হতে ইচ্ছুক
গত ১১ জুলাই সিলেট নগরে সংবাদ সম্মেলন করে বিভাগের চারটি জেলার ১৯টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে খেলাফত মজলিস। তালিকা ঘেঁটে দেখা যায়, প্রার্থীদের পাঁচজনই প্রবাসী। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় তিনজন এবং সিলেট ও মৌলভীবাজারে একজন করে প্রার্থী।
খেলাফত মজলিসের প্রবাসী প্রার্থীরা হলেন সুনামগঞ্জ–৩ (জগন্নাথপুর–শান্তিগঞ্জ) আসনে লন্ডন মহানগর শাখার তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মুশতাক আহমদ, সুনামগঞ্জ–৪ (সদর–বিশ্বম্ভরপুর) আসনে যুক্তরাজ্যের লুটন শাখার সহ–সেক্রেটারি আমিরুল ইসলাম ও সুনামগঞ্জ–৫ (ছাতক–দোয়ারাবাজার) আসনে লন্ডন মহানগরের সহসভাপতি আবদুল কাদির। এ ছাড়া সিলেট–৬ (বিয়ানীবাজার–গোলাপগঞ্জ) আসনে যুক্তরাজ্য দক্ষিণ শাখার সভাপতি সাদিকুর রহমান ও মৌলভীবাজার–১ (জুড়ী–বড়লেখা) আসনে কাতার শাখার সহসভাপতি লুকমান আহমদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এদিকে সিলেট–২ (বিশ্বনাথ–ওসমানীনগর) আসনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী হুমায়ুন কবির মনোনয়ন পেতে তৎপর আছেন। এ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সংগঠনটির যুক্তরাজ্য শাখার সহসভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদকে প্রার্থী করেছে।
সিলেট–৩ (দক্ষিণ সুরমা–বালাগঞ্জ–ফেঞ্চুগঞ্জ) আসনে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুস সালাম (এম এ সালাম) ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ ছাড়া দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আরও আছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা মশাহিদ হোসাইন ও যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবেদ রাজা। এ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য যুক্তরাজ্যপ্রবাসী নুরুল হুদার নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছে। এ ছাড়া আসনটিতে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মইনুল বাকর তৎপর আছেন।
সিলেট–৪ (গোয়াইনঘাট–কোম্পানীগঞ্জ–জৈন্তাপুর) আসনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী হেলাল উদ্দিন আহমদ দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। সিলেট–৫ (জকিগঞ্জ–কানাইঘাট) আসনে সম্ভাব্য সাত প্রবাসী প্রার্থীর নাম জানা গেছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সামিরা তানজিম চৌধুরী, সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক মো. জাকির হোসাইন, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ফাহিম আলম ইসহাক চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সহসভাপতি শরীফ আহমদ লস্কর, অস্ট্রেলিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব জাহিদুর রহমান ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. নূরুজ্জামান বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করতে চান।
সিলেট–৬ আসনে আট প্রবাসী প্রার্থী আলোচনায় আছেন। এর মধ্যে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আছেন যুক্তরাজ্যের টাওয়ার হেমলেটসের সাবেক ডেপুটি মেয়র এ এন এম ওহিদ আহমেদ, যুক্তরাজ্যের টাওয়ার হেমলেটসের কাউন্সিলর সাবিনা খান ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন।
এদিকে সুনামগঞ্জ–১ (তাহিরপুর–জামালগঞ্জ–ধর্মপাশা–মধ্যনগর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হামিদুল হক আফিন্দী। সুনামগঞ্জ–২ (দিরাই–শাল্লা) আসনে জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী তাহির রায়হান চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরেই মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। এ ছাড়া এখানে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আজমল হোসেন চৌধুরী। তাহির রায়হান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দেশেই থাকি সব সময়। মাঝেমধ্যে যুক্তরাজ্য যাই। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের সুখ–দুঃখে পাশে আছি। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা মেটাতে অনেক দিন ধরে স্থানীয়ভাবে কাজ করে চলেছি।’
সুনামগঞ্জ–৩ আসনে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেনের নাম প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছে। সুনামগঞ্জ–৪ আসনে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানী সোহেল দলীয় মনোনয়ন চান।
এদিকে হবিগঞ্জ–১ (নবীগঞ্জ–বাহুবল) আসনে তিন প্রবাসী প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আছেন শিকাগো বিএনপির সভাপতি শাহ মোজাম্মেল ও যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক নেতা তালহা চৌধুরী প্রমুখ। হবিগঞ্জ–২ (বানিয়াচং–আজমিরীগঞ্জ) আসনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সৌদি আরব বিএনপির সভাপতি আহমেদ আলী মুকিব মনোনয়নপ্রত্যাশী। আহমেদ আলী মুকিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত ১৭ বছর এলাকার মানুষের পাশে নানাভাবে দাঁড়াচ্ছি। করোনা, বন্যাসহ মানুষের দুঃখে সব সময় পাশে আছি। গত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে যেসব দলীয় নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাঁদের পরিবারের খোঁজখবরের পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতা করেছি। দলীয় নেতা–কর্মীরা মনে করছেন, দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। তবে দল যেটা সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই মেনে নেব। আমার স্লোগান হচ্ছে, ধানের শীষ যার হাতে, আমরা তার সাথে।’
এদিকে মৌলভীবাজার–১ আসনে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা মুদাব্বির হোসেন, কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন। এ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হিসেবে আছেন দলটির আরব আমিরাত শাখার সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম ইয়াহইয়া।
মৌলভীবাজার–২ (কুলাউড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন চান সাত প্রবাসী। তাঁরা হলেন যুক্তরাজ্য জিয়া পরিষদের সভাপতি সাইফুল আলম চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির সভাপতি বদরুল আলম চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জুবায়ের আলী, যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা আবদুল আহাদ, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমদ, কুলাউড়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এম রওশন আলী এবং জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সিদ্দিক হোসাইন। এ ছাড়া জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ছাত্র জমিয়তের সাবেক নেতা মাওলানা শাহ মাশুকুর রশীদ আছেন।
মৌলভীবাজার–৪ (শ্রীমঙ্গল–কমলগঞ্জ) আসনে প্রবাসী সাবেক ছাত্রদল নেতা জালাল আহমেদ ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাবেক যুবদল নেতা তোফায়েল লিটন চৌধুরী বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। এখানে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম যুক্তরাজ্য শাখার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ নূরে আলম হামিদি।