সিলেটে নানির রক্তাক্ত মরদেহের পাশে শুয়ে ছিলেন শিকল পরা মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক
Published: 19th, October 2025 GMT
সিলেটের জৈন্তাপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক ইট দিয়ে আঘাত করে তাঁর নানিকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ঘটনাস্থলেই নানির লাশের পাশে শুয়ে ছিলেন তিনি। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাটেরচটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাঁর নাতি সুমন আহমদকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।
আজিবা বেগমের ছোট মেয়ের ছেলে সুমন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। সে কারণে পায়ে শিকল লাগিয়ে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হতো তাঁকে। সুমনের মা-বাবা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। এর পর থেকেই তিনি নানির সঙ্গে থাকতেন।
পুলিশ নিহত নারীর পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানায়, আজিবা বেগমের চার ছেলে ও চার মেয়ে। চার ছেলের একজন মারা গেছেন, বাকি তিনজন আলাদা সংসার করেন। ছোট মেয়ে ও জামাতা কয়েক বছর আগে মারা যাওয়ার পর তাঁদের ছেলে সুমনকে নিজের কাছে রাখেন আজিবা বেগম। প্রায় দুই মাস আগে সুমন মানসিক ভারসাম্য হারালে তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ১৫ দিন আগে তাঁকে বাড়িতে আনা হয়। এর পর থেকে পায়ে শিকল পরিয়ে রাখা হয়েছিল। গতকাল রাতে সুমন নানিকে ইট দিয়ে আঘাত করেন। স্থানীয় এক যুবক রাতে বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আজিবা বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজনকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, নিহত বৃদ্ধার পাশে শুয়ে ছিলেন সুমন। পায়ে শিকল পরা ছিল। পাশে গেলে শিকল খুলে দেওয়ার আকুতি করছিলেন এবং ইট দিয়ে শিকলের তালায় আঘাত করছিলেন। নিহত বৃদ্ধার মাথাসহ শরীর ইটের আঘাতে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় সুমন এ কাজ করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত বৃদ্ধার আরেক নাতি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় সুমনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মোরাল প্যারেন্টিং বৃত্তি পেল অর্ধশতাধিক ইবি শিক্ষার্থী
‘উইথ দ্য কনভিকশন টু বিল্ড এ মোরাল সোসাইটি’ প্রতিপাদ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৃত্তি উৎসবের আয়োজন করেছে শাখা মোরাল প্যারেন্টিং ট্রাস্ট। এর আওতায় ৬০ জনের অধিক শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করে সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক এই সংগঠনটি।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল একাডেমিক ভবনে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন:
খুবির হল ও ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে টেস্টিং সল্ট ব্যবহারের অভিযোগ
জিএস পদে হারলেও সিনেটে নির্বাচিত ফাহিম
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির ক্যাম্পাস গার্ডিয়ান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. ধনঞ্জয় কুমার, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ, সহযোগী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার অধিকারী ও হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাফর আলী।
সংগঠনটির ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মিশুক শাহরিয়ার বলেন, “মোরাল প্যারেন্টি ট্রাস্ট একটি সামাজিক অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় এই সংগঠনটি অদম্য, অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা করে থাকে। এছাড়াও সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের আত্মউন্নয়ন, ব্যক্তিগত দক্ষতাবৃদ্ধি নিয়ে কাজ করে।পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ, চিকিৎসা পরামর্শ, নৈতিক সমাজ গঠন ও সুন্দর সমৃদ্ধ দেশ গঠনে মোরাল প্যারেন্টিং পরিবার কাজ করে যাচ্ছে।”
ক্যাম্পাস গার্ডিয়ান অধ্যাপক ড. ধনঞ্জয় কুমার বলেন, “এসব অনুষ্ঠানে মোরাল চাইল্ডদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি কামনা করছি। যারা আমাদের বৃত্তি দিচ্ছেন, তাদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল থাকব এবং তাদের কমিটমেন্টের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকব। এই বৃত্তির অর্থ নিজেদের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করব।”
সংগঠনটি বৃত্তি উৎসব, ফ্রি চিকিৎসা পরামর্শ, সাবলম্বী প্রজেক্ট, ১০০ বই পড়া উৎসব, বেসিক কম্পিউটার কোর্স, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, গবেষণা ও বিদেশে অধ্যয়ন ও আইএলটিএসসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী