রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের শান্তি আলোচনায় ইউরোপের সায়
Published: 21st, October 2025 GMT
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে সমর্থন দিয়েছেন ইউরোপের নেতারা। আজ মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ সমর্থন জানানো হয়। ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধক্ষেত্রের সম্মুখসারি বরাবর সংঘাত থামানোকে ভিত্তি ধরে ওই শান্তি আলোচনা করা হবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই এই যুদ্ধ থামাতে তৎপর হয়েছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে দুই পক্ষের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন তিনি। গত সপ্তাহেও মস্কো ও কিয়েভকে আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনারা যেখানে আছেন, সে বরাবর তাঁদের লড়াই বন্ধ করতে হবে।
আজ প্রকাশিত বিবৃতিতে সই করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান আন্তোনিও কস্তা ও উরসুলা ভর ডার লিয়েন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থানকে সমর্থন করছি। এতে তিনি অবিলম্বে লড়াই থামানোর কথা বলেছেন। আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে দুই পক্ষের লড়াইয়ের সম্মুখসারি হবে আলোচনার কেন্দ্র। আমরা এই নীতিতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব যে শক্তি খাটিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পরিবর্তন করা যাবে না।’
এদিকে আগামী কয়েক সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির পুতিনের সঙ্গে বুদাপেস্টে সাক্ষাৎ করবেন ট্রাম্প। তবে সেখানে জেলেনস্কি থাকবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়, গত আগস্টে আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন যে বৈঠক হয়েছিল, তাতে যুক্ত করা হয়নি জেলেনস্কিকে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন
এছাড়াও পড়ুন:
আগারগাঁওয়ে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
ঢাকার আগারগাঁওয়ে একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ছয় জন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
আরো পড়ুন:
টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের দ্রুত কাজে ফেরার আহ্বান
রাজশাহীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কর্মবিরতি
দগ্ধরা হলেন—মোহাম্মদ জলিল মিয়া (৫০), আনেজা বেগম (৪০), আসিফ মিয়া (১৯), সাকিব মিয়া (১৬), ইভা (৬) ও মনিরা (১৭)।
তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা মেয়ে জামাই আফরান মিয়া বলেন, “আমার শ্বশুর জলিল মিয়া আগারগাঁওয়ের পাকা মার্কেট ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাম পাশের একটি বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আকস্মিক গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আমার শ্বশুরের পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়। পরে আমরা খবর পেয়ে সকাল পৌনে ৮টার দিকে তাদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসি।”
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, “আজ সকালে আগারগাঁও এলাকা থেকে নারী ও শিশুসহ ছয়জনকে দগ্ধ অবস্থায় ঢামেকের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের ড্রেসিং চলছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।”
ঢাকা/বুলবুল/ইভা