ভারতের উত্তর প্রদেশে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে খুন করে মৃতদেহ বাড়ির ভেতরই পুঁতে রাখেন। ৪৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির সন্দেহ ছিল, তাঁর স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়েছেন।

ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গতকাল বুধবার জানিয়েছে পুলিশ। তিনি উত্তর প্রদেশের বহরাইচ জেলার বাসিন্দা। ওই ব্যক্তির নাম হরিকিষাণ।

এএসপি রামানন্দ প্রসাদ কুশওয়াহা পিটিআইকে বলেন, অভিযুক্ত হরিকিষাণকে গত মঙ্গলবার দুর্গাপুরের তাপসী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পাশের আহাতা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, হরিকিষাণ একজন শ্রমিক, কাজ করেন হরিয়ানা রাজ্যে। সম্প্রতি তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। তাঁর স্ত্রী ফুলা দেবী (৪৫) ৬ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ।

নিখোঁজ হওয়ার সপ্তাহখানেক পর ১৩ অক্টোবর ফুলা দেবীর ভাই থানায় একটি নিখোঁজ অভিযোগ করেন।

শুক্রবার ফুলা দেবীর ভাই তাঁর বোনের স্বামী হরিকিষাণের খাটের নিচে সদ্য খোঁড়া মাটি দেখতে পান। এতে তাঁর সন্দেহ হয় এবং তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে ফুলা দেবীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। সেটি পাঁচ–ছয় ফুট মাটির নিচে পোঁতা ছিল। এরপরই হরিকিষাণ বাড়ি থেকে পালিয় যায় বলে জানায় পুলিশ।

মৃতদেহ উদ্ধারের পর নিখোঁজের অভিযোগে করা মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়। অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে পুলিশ অভিযান শুরু করে। পরে পাশের গ্রামে আত্মগোপনে থাকা হরিকিষাণকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত হরিকিষাণ পুলিশকে বলেন, হরিয়ানা থেকে বাড়ি ফিরে তিনি তাঁর স্ত্রীকে গুড্ডু নামে গ্রামের এক তরুণের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান।

এএসপি রামানন্দ বলেন, এরপর রাগের মাথায় তিনি তাঁর স্ত্রীকে খুন করেন এবং মৃতদেহ ঘরের ভেতর পুঁতে রাখেন।

হরিকিষাণকে আদালতে তোলা হয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চার শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ

বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ৪৩তম ব্যাচের চার জন সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) চাকরি থেকে অপসারণ করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইল ও পঞ্চগড়ে পৃথক ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৩

জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষানবিশ চার সহকারী পুলিশ সুপারকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিধিমালা, ১৯৮১ এর বিধি ৬(২)এ অনুযায়ী সরাসরি চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো।

যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।

অপসারণ হওয়া চার এএসপি হলেন-শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার শের শাহ, শোভন কুমার বিশ্বাস, মো. রওশন জামিল ও আশফাক ফেরদৌস।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চার শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ