কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর বিএনপির মনোনয়ন বাতিল করে কুমারখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিককে দলের প্রার্থী করার দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কর্মী-সমর্থকরা। 

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তৃণমূল বিএনপির ব্যানারে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের খোকসার মোড়াগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মিছিল শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কুমারখালীর জিলাপিতলা বাজারে গিয়ে শেষ হয়। 

আরো পড়ুন:

বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ

পাবনা-৩: বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন না করলে চাচা-ভাতিজার একজন স্বতন্ত্র হওয়ার ঘোষণা

মিছিলে কুমারখালী ও খোকসা উপজেলার কয়েকশত নেতাকর্মী অংশ নেয়। তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পথচারীরা ভোগান্তিতে পড়ে।

এ বিষয়ে কুমারখালী পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘‘দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে মেহেদী রুমীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যিনি দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন না। তাকে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ।’’ 

নন্দলালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘‘মেহেদী আহমেদ রুমীকে পরিবর্তন করে আনছার প্রামাণিককে মনোনয়ন না দিলে এই আসনে ধানের শীষকে বিজয়ী করা সম্ভব হবে না। এখানে রুমী সাহেব থাকলে জামায়াত জিতে যাবে। তাই পরিবর্তন করে আনছারকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।’’ 

খোকসা ইউনিয়নের যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘‘মেহেদীকে পরিবর্তন করে আনছারকে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে ধানের শীষের বিজয় হবে। না হলে বড় ধরনের ভরাডুবি ঘটবে।’’
 

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র আনছ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেনের চাকার নিচে পড়ে শিশুর আকুতি, কাটা পড়তে পারে পা

ট্রেনের চাকার নিচে পা আটকে গেছে একটি ছেলেশিশুর। বয়স ১০–১২ বছর। বাঁচার জন্য আকুতি করছে সে। এমনই একটি ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে।

আহত ওই শিশুর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাকে প্রথমে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল)।

রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা–নোয়াখালী রুটে চলাচলকারী উপকূল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। কীভাবে শিশুটি ট্রেনের নিচে গেল, এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি রেলের কর্মকর্তারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় ট্রেন থামিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়।

শিশুটির সঙ্গে কোনো অভিভাবক ছিল না বলে জানিয়েছেন রেলের কর্মকর্তারা। তাঁদের ধারণা, সে আশপাশের এলাকার বাসিন্দা বা পথশিশু হতে পারে। শিশুটি যেভাবে ট্রেনের চাকার নিচে পড়েছে, তাতে তার একটি পা কেটে ফেলা লাগতে পারে।

এ বিষয়ে রেলের ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিএআরএম) এ বি এম কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার পরই পুলিশ শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। শিশুটি ট্রেনের যাত্রী ছিল না বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ