আট বছর আগে ১০ লাখ রোহিঙ্গার আশ্রয়শিবির নির্মাণ করতে গিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৮ হাজার একরের বেশি সংরক্ষিত বনভূমি ধ্বংস করা হয়েছে। এতে জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ ধ্বংসের পাশাপাশি ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়গুলোতে বড় বড় ফাটল ধরেছে। চাহিদার অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের কারণে ভূগর্ভের পানি ক্রমান্বয়ে নিচে চলে যাচ্ছে। খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বনাঞ্চল উজাড়, অভয়ারণ্য ও জলাশয় ধ্বংসের কারণে ৫০টির বেশি বন্য হাতিসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী খাদ্যসংকটে ভুগছে। এখন যদি উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয়শিবিরে থাকা ১৪ লাখ রোহিঙ্গার জন্য স্থায়ী অবকাঠামো (পাকা ঘরবাড়ি) নির্মাণ করা হয়, তাহলে সংকট আরও বেড়ে যাবে। তখন রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে চাইবে না, প্রত্যাবাসন আরও বিলম্বিত হবে। কক্সবাজারের পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা করতে হলে রোহিঙ্গার জন্য স্থায়ী ঘরবাড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। পরিবেশ রক্ষার সময়োপযোগী প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা তুলে ধরেন ৬০টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) সমন্বয়ে গঠিত ‘কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরাম’–এর নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে নাফ নদীর পানি দিয়ে রোহিঙ্গাদের খাওয়ার পানির চাহিদা পূরণে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণসহ সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন এনজিও ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, বিদেশি সহায়তার ৩৭৫ কোটি টাকায় আন্তর্জাতিক একটি সংস্থা রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় (কক্সবাজারের) এনজিওদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে এই রোহিঙ্গারা জীবনেও মিয়ানমারে ফিরতে রাজি হবে না। তা ছাড়া স্থায়ী অবকাঠামো কীভাবে নির্মাণ হবে, কোথায় নির্মাণ করা হবে, নকশা কী রকম হবে; তা–ও গোপন রাখা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী অবকাঠামো নয়, পূর্বে নির্মিত (বাঁশ-কাঠ ও ত্রিপলের ছাউনিযুক্ত) কাঠামোতে থাকতে হবে, আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর নিজ দেশ থেকে তহবিল সংগ্রহ করা, বিশ্বব্যাংকের তহবিলে স্থানীয় এনজিওর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, আশ্রয়শিবিরে টেকসই উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি সংরক্ষণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ানো।

সংবাদ সম্মেলন বেসরকারি সংস্থা ‘হেলপ কক্সবাজার’–এর নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম বলেন, ‘আমরা কয়েক যুগ ধরে মানব পাচার ও মাদক পাচার রোধে কাজ করছি। পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ বনাঞ্চল নিধনের বিষয়ে মানুষজনকে সচেতন করছি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে জনমত গঠন করি। অথচ রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবা কার্যক্রমসহ উন্নয়নকাজে স্থানীয় এনজিওদের অংশীদার করা হয় না।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য স থ য় ন র ম ণ কর অবক ঠ ম পর ব শ এনজ ও

এছাড়াও পড়ুন:

হঠাৎ শুভ-ঐশীর একসঙ্গে রোমান্টিক ছবি পোস্ট

হঠাৎ করেই ভিন্নভাবে ফেসবুকে পোস্টের ছবিতে ধরা দিলেন নায়ক আরিফিন শুভ ও নায়িকা জান্নাতুল ঐশী। তাঁদের রোমান্টিক ছবি ঘিরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও চলচ্চিত্র–সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোতে শুরু হয়েছে নানা জল্পনাকল্পনা। এর কারণ, আরিফিন শুভ ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘তোরে এত ভালোবাসি, আর বলব কতবার।’ ঐশী লিখেছেন, ‘যদি হারাস একটিবার, মরে যাব শতবার।’

ঐশী ও আরিফিন শুভ। ছবি: ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ