জাতীয় পার্টি যদি আ.লীগকে ছাড়া নির্বাচনে না আসতে চায়, সেটা তাদের স্বাধীনতা: সালাহউদ্দিন
Published: 24th, October 2025 GMT
জাতীয় পার্টি যদি আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন না করতে চায়, সেটা তাদের স্বাধীনতা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, শিগগিরই রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা হবে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এ মামলা হবে। এখন যদি জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন না করতে চায়, সেটা তাদের স্বাধীনতা।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমাদের জানামতে, জাতীয় পার্টি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তাদের নিবন্ধনও বহাল আছে। দল হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলা এখনো হয়নি। তাই জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার মতো কোনো অযোগ্যতা নেই। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তাদের পুরাতন সঙ্গী আওয়ামী লীগের সঙ্গে যদি তারা জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে চায়, সেটাও তাদের নিজস্ব ব্যাপার।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। তাদের প্রতীকও ইসির ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন তাদের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং গণহত্যার অপরাধে বিচার চলছে। অনেকেই বাকি আছে। তারাও হয়তো বিচারের আওতায় আসবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। শেষ হলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হতে পারে শিগরিই। তদন্তটা আরও আগে হতে পারত। কারণ, সেই লক্ষ্যে আইন পরিবর্তিত হয়েছে আরও অনেক আগে। কিন্তু তদন্তটা শুরু করেছে অনেক পরে। তারপরও আশা করা যায়, শিগগিরিই রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হবে।
আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে নির্বাচন হবে না, সাবেক এক সেনাপ্রধান এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বিএনপি এমন কোনো শঙ্কা দেখে কি না, জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘যারা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং শক্তি, তাদের মধ্যে কেউ কি আজ পর্যন্ত বলেছে তারা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন চায় না? কেউ কি বলেছে? তো যদি না বলে থাকে, জনগণ তো নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচন চায়, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে। পারলে আরও আগে, তাহলে নির্বাচনের অনুষ্ঠানের বিষয়ে কেন শঙ্কা প্রকাশ করতে হবে? কোনো কারণ তো নেই।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ল হউদ দ ন আহমদ দল হ স ব
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে পাওনা টাকা নিয়ে তরুণকে অপহরণের পর হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
সিলেটের কানাইঘাটে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সাইফুল ইসলামকে (২০) অপহরণের পর খুনের ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ঝাউচর মেঘনাঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে সাইফুল ইসলামকে অপহরণের পর কানাইঘাটের লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের রাতাছড়া গ্রামে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ছলু মিয়া ২ ডিসেম্বর কানাইঘাট থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা দু-একজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। গ্রেপ্তার তরুণের নাম শাকিল আহমদ (২২)। তাঁর বাড়িও রাতাছড়া গ্রামে। ওই ঘটনায় এর আগে শাকিলের বাবাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, নিহত সাইফুল ও শাকিলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি দুজনের মধ্যে দুই লাখ টাকা দেনা-পাওনা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন শাকিল সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে নিয়ে দনা বাজারে যান। সন্ধ্যায় সাইফুলের ভাই সুফিয়ান আহমদ দনা বাজার থেকে বাবাকে ফোন দিয়ে জানান, শাকিল মোটরসাইকেলে করে সাইফুলকে তাঁদের বাড়ির দিকে নিয়ে গেছে। পরে বাড়িতে সাইফুলকে বেঁধে মারধর করা হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বাড়ির পূর্ব পাশের জঙ্গলে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা।
আরও পড়ুনসিলেটে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে অপহরণ, পরে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ০১ ডিসেম্বর ২০২৫পরে সাইফুলকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত শাকিলের বাবা এবং আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার প্রধান অভিযুক্ত শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হলো।
র্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) কে এম শহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া শাকিলকে সিলেটের কানাইঘাট থানায় হস্তান্তরের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।