নাটোরে মুখোশধারী কয়েকজন এসে হামলা চালাল বিএনপি নেতার ওপর
Published: 25th, October 2025 GMT
নাটোরের নলডাঙ্গায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেনের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। এতে তিনি ও তাঁর সঙ্গে থাকা ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পীরগাছা বাজার এলাকায় এ হামলা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে নয়টার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলার বাঙাল কলোসী গ্রামে বিএনপির একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে পীরগাছা বাজারে নেতা-কর্মীদের বিদায় জানাচ্ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় মোটরসাইকেলে মুখোশধারী কয়েকজন দুর্বৃত্ত দেশি অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই অন্তত সাতজন আহত হন। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত অন্য ছয়জন হলেন ব্রহ্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.
স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলাকারীদের শনাক্তে অভিযান চলছে। খুব শিগগির জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানদের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ
নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফরিদ মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ফরিদ মিয়া (৪৪) একই এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি পিকআপচালক। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ছয়জন হলেন ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম (৩৮), তাঁদের দুই ছেলে আরাফাত (১৫) ও তাওহীদ (৭), শ্যালিকা সালমা বেগম (৩৪) এবং তাঁর ছেলে ফরহাদ (১২) ও জিহাদ মিয়া (২৪)। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ফরিদ মিয়া ও রিনা বেগম দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। এ জন্য দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান রিনা। গতকাল রাত আড়াইটার দিকে ফরিদ মিয়া শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রী-সন্তানদের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে ঘরের বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান।
এ সময় প্রতিবেশী ও স্থানীয় লোকজন টিনের ঘরের দরজা ভেঙে দগ্ধ ছয়জনকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় দগ্ধ ছয়জনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ফরিদা গুলশানারা কবির বলেন, দগ্ধ ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদেরসহ পাঁচজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রিনা বেগমের শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
দগ্ধ রিনার বাবা মহন মিয়া বলেন, ‘ফরিদ মিয়া নেশাগ্রস্ত। সে আমার মেয়ের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করে আসছিল। গতকাল রাতে সে আমার ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় দুই মেয়ে ও তাদের তিন সন্তানসহ ছয়জনের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।’
নরসিংদী মডেল থানার উপপরিদর্শক অনিক কুমার গুহ বলেন, ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দগ্ধ ছয়জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অভিযুক্ত ফরিদ মিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।