স্ত্রীর মৃত্যুর ১১ ঘণ্টা পর মারা গেছেন স্বামী। এমন হৃদয়স্পর্শী ঘটনা ঘটেছে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কাদিবাড়ী মৃধাপাড়া গ্রামে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফন করা হয়েছে।

ওই দম্পতি হলেন জলিলুর রহমান (৭০) ও আঞ্জুয়ারা বেগম (৬৫)। গতকাল শুক্রবার বেলা ১টা ২৫ মিনিটে নিজ বাড়িতে মারা যান আঞ্জুয়ারা। আর দিবাগত রাত ১২টা ২৫ মিনিটে নওগাঁ সদর হাসপাতালে মারা যান জলিলুর। প্রায় ৪০ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল তাঁদের। সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে।

গ্রামবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জলিলুর রহমান অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। কয়েক দিন ধরে তিনি কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। গতকাল বেলা ১ একটা ২৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ মারা যান তাঁর স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম। তখন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে স্বজনেরা তাঁকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রাতে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

জীবিত থাকা অবস্থায় স্বামী জলিলুর রহমানের সঙ্গে বসে লুডু খেলছিলেন আঞ্জুয়ারা বেগম। তাঁদের মৃত্যুর পর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে ছবিটি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জল ল র

এছাড়াও পড়ুন:

জবিতে নিখোঁজ ৩ ছাত্রদল নেতার সন্ধানে মানববন্ধন

২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নিখোঁজ তিন ছাত্রদল নেতার সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ছাত্রদল। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির নেতারাও সংহতি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “ছাত্রদল নেতা মাজহারুল ইসলাম রাসেল, আসাদুজ্জামান রানা ও আল-আমিনকে নিখোঁজের ১১ বছর পরও উদ্ধার করা যায়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম-খুন, পেটোয়া বাহিনীর হামলা ও নির্যাতন ছিল নিয়মিত ঘটনা।”

আরো পড়ুন:

ভাইকে তো পাব না, অন্তত বিচার যদি পাই: বিশ্বজিতের ভাই

বিশ্বজিৎ হত্যার দৃশ্যচিত্র আজো দেশের মানুষকে কাঁদায়: অধ্যাপক রইছ

বক্তারা সব নিখোঁজ নাগরিকের সন্ধান নিশ্চিত করা এবং বিচার বিভাগের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

জবির ছাত্রদল সমর্থিত জাকসুর প্যানেলের জিএস প্রার্থী ও শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খাদিজাতুল কোবরা বলেন, “আজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে বহু মানুষ গুম হয়েছে। স্বাধীন দেশে ভাইদের খুঁজতে রাস্তায় দাঁড়াতে হয়, এটাই আমাদের বেদনা। আমরা এমন দেশ চাই যেখানে কেউ গুম হবে না এবং সবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।”

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “ফ্যাসিস্ট আমলে বহু বিএনপি নেতা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। ছাত্রলীগের হাতে বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আমাদের অনেকে ফিরে এলেও জবির তিন ভাইকে এখনো পাইনি। দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা মৃত্যুকে উপেক্ষা করে আন্দোলন করছি। গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।”

মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ্ উদ্দিন বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে গুম-খুন ছিল নৈমিত্তিক ঘটনা। জুলাই আন্দোলনের পরও অনেকের সন্ধান পাইনি। জবির তিন ছাত্রদল নেতা, আমার কাজিন ইলিয়াস আলীসহ বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ। প্রতি ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করি, পরদিন ভুলে যাই-এটাই দুঃখজনক।”

শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, “অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো জবিতে এখনো হয়নি। আমরা চাই, জবি থেকে গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক।”

ঢাকা/লিমন/জান্নাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ