আগামী দিনের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কাজ করছে বিএনপি: তারেক রহমান
Published: 25th, October 2025 GMT
আধুনিক জ্ঞান–বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী দিনের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে বিএনপি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফাবিষয়ক মেধা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে তারেক রহমান ছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রের উন্নয়ন, সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে তোমাদের জন্য একটা নিরাপদ রাষ্ট্র, নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তেই কিন্তু বিএনপি ইতিমধ্যে জনগণের সামনে ৩১ দফা ঘোষণা করেছে। এরই অংশ হিসেবেই কিন্তু দেশের প্রচলিত শিক্ষা কারিকুলামকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষাবিদদের একটা বিশেষজ্ঞ টিম আমরা তৈরি করেছি। যারা ইতিমধ্যে অনেক কাজ এগিয়ে নিয়ে গেছেন।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের দলের পক্ষ থেকে আগামী দিনের পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে সেভাবে সাজিয়ে তুলতে চেষ্টা করছি। আধুনিক জ্ঞান–বিজ্ঞান আর উদ্ভাবনী প্রযুক্তির এই সময়ে নিজেকে অন্যের চেয়ে দক্ষ করে তোলার একাগ্রতার কোনো বিকল্প নেই। সে জন্যই মনে রাখতে হবে, মেধাবিকাশের জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যা, প্রচণ্ড পরিশ্রম আর ইচ্ছাশক্তি।’
পবিত্র কোরআনের আয়াত ও নেলসন ম্যান্ডেলার উদ্ধৃতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) যুগে কিন্তু প্রবেশ করছে। মেধাবীদের জন্য বিশ্বের দ্বার এখন উন্মুক্ত। জ্ঞান-বুদ্ধি-মেধা এবং যোগ্যতার প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা সর্বত্র। সুতরাং মাদ্রাসা কিংবা স্কুল যেখানেই তোমরা পড়াশোনা করো না কেন, মনে রাখতে হবে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে সম্মানের সঙ্গে টিকে থাকতে হলে তোমাদের যথোপযুক্ত শিক্ষায় কিন্তু শিক্ষিত হতে হবে। জ্ঞান–বিজ্ঞানে পারদর্শী হতে হবে। ব্যবহারিক ও কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ হতে হবে।’
‘বিএনপিকে সংস্কার শেখাতে হবে না’অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য যে প্রত্যাশা, সেটা হলো একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। আজকে যে সংস্কার নিয়ে কথা হচ্ছে, সেই সংস্কারের রূপরেখা প্রায় আড়াই বছর আগে বিএনপি দিয়েছিল। কাজেই বিএনপিকে সংস্কার শেখাতে হবে না। বিএনপি সংস্কারে বিশ্বাস করে।’
আবদুল মঈন খান বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা ইনশা আল্লাহ একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে আবার ফিরিয়ে আনব। তারেক রহমান লন্ডন থেকে বাংলাদেশের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনি ইনশা আল্লাহ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘২৫ বছর আগে বিএনপি সরকারে থাকাকালে আমি লক্ষ করেছিলাম, তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি কেবল ঘরে বসে রাজনীতি করেননি; তৃণমূল পর্যায়ে গিয়ে জনগণের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তুলেছিলেন। তিনি লন্ডনে থেকেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হচ্ছেন, তাঁদের কথা শুনছেন।’
জেলা বিএনপির সভাপতি মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ক ষ ব যবস থ ত র ক রহম ন ব এনপ র স অন ষ ঠ ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান
দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।
সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প