৪০ পেরিয়েও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যেন ক্লান্তিহীন এক তরুণ। মাঠে নামলেই গোল করছেন, করাচ্ছেন, দলকে জেতাচ্ছেন। কদিন আগেই বিস্ময় ছড়িয়ে বাইসাইকেল কিকে করলেন অবিশ্বাস্য এক গোল।

রোনালদোর চেয়ে দুই বছরের ছোট লিওনেল মেসিও কম যান না। ম্যাচের পর ম্যাচে জাদু দেখাচ্ছেন। গত সোমবার ভোরে ইন্টার মায়ামির হয়ে তিনটি অ্যাসিস্ট করে উঠে গেছেন ফুটবল ইতিহাসে অ্যাসিস্ট তালিকার যৌথভাবে শীর্ষে, বসেছেন ফেরেঙ্ক পুসকাসের পাশে।

দুজনের মধ্যে কে কাকে ছাড়িয়ে যাবেন—এই লড়াই চলছে বহুদিন ধরে। বাইসাইকেল কিকে গোল করার পরিসংখ্যানে অবশ্য রোনালদো এগিয়ে। তাঁর গোলের সংখ্যা ৪, মেসির মাত্র ১।

আরও পড়ুনমেসি-রোনালদো: গোল, অ্যাসিস্ট, হ্যাটট্রিকে কে কোথায় এগিয়ে১৯ ঘণ্টা আগে

বাইসাইকেল কিকে গোল করার জন্য রোনালদো বিখ্যাত হলেও, প্রথম গোলটি করতে তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। ফারো আইল্যান্ডের বিপক্ষে পর্তুগালের ১–০ গোলের জয়ে সেই গোলটি করেন তিনি। তবে আসল খ্যাতি এনে দেয় দ্বিতীয় বাইসাইকেল কিকে করা গোলটি। বলা যায়, সেই গোলেই বাইসাইকেল কিকের প্রতীক হয়ে ওঠেন রোনালদো।

বাইসাইকেল কিকে রোনালদোর সেই গোল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইয়াবা পাচারের দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন

কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় এক রোহিঙ্গাসহ দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুই রোহিঙ্গাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অপর একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

টেকনাফে ঘরের দরজা ভেঙে স্থানীয় বাসিন্দাকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গারা

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব গৃহীত

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোহাম্মদ হোসনের ছেলে নূর মোস্তফা এবং কক্সবাজার শহরের কুতুবদিয়া পাড়ার মৃত নজির আহমদের ছেলে সোনা মিয়া।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন, উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত খুলু মিয়ার ছেলে আবদুল গফুর (৩৫) এবং মৃত মোহাম্মদ আলমের ছেলে মো. আইয়ুব ওরফে তৈয়ব। একই মামলায় রামুর রাজারকুল এলাকার মো. ইসলামের ছেলে আবদুর রহমানকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালের ২ মার্চ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে একটি মাইক্রোবাসসহ ১ লাখ ৯০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে এবং পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ডিবির তৎকালীন পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে রামু থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে একই বছরের সেপ্টেম্বরে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হলে বিচার শুরু হয়। সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা শেষে মঙ্গলবার রায় দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, মামলার বিচার চলাকালে পাঁচ আসামিই বিভিন্ন সময়ে জামিনে ছিলেন। পরে চারজন পলাতক হয়ে যায়। রায় ঘোষণার সময় কেবল খালাসপ্রাপ্ত আবদুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/তারেকুর/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ